ডেস্ক নিউজ:
চট্টগ্রাম মহানগরের ১৬ এলাকায় শতাধিক কিশোর গ্যাং গ্রুপ গজিয়ে উঠেছে। মঙ্গলবার কলেজিয়েট স্কুলের নবম শ্রেণির ছাত্র আদনান ইসফার খুন হওয়ার পর এই গ্রুপগুলোর নাম উচ্চারিত হচ্ছে। ফলে পুলিশও এদের তালিকা তৈরিতে নেমেছে। চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের (সিএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার (অপরাধ ও অভিযান) সালেহ মোহাম্মদ তানভির জানান, নগরের কিশোর গ্যাং গ্রুপগুলোর তালিকা তৈরি করতে প্রত্যেক থানা পুলিশকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। আশা করা হচ্ছে, দ্রুত সময়ের মধ্যে তালিকা তৈরি হবে। এরপর কিশোর গ্যাং গ্রুপ নিয়ন্ত্রণে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমাদের জনবল কম থাকায় স্কুল পর্যায়ে কাজ করা সম্ভব নয়। তাই কমিউনিটি পুলিশিং ও অভিভাবকদের সচেতন করে কিশোরদের মধ্যে অপরাধপ্রবণতা কমানোর উদ্যোগ নেওয়া হবে।’ নাম প্রকাশ না করার শর্তে সিএমপির এক কর্মকর্তা বলেন, ‘চট্টগ্রাম নগরের ১৬ থানা এলাকায় শতাধিক কিশোর গ্যাং গ্রুপ রয়েছে। এসব গ্রুপ গঠনে ভূমিকা পালন করছেন ছাত্র সংগঠনের নেতারা। এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে গেলে ছাত্র সংগঠনের নেতা ছাড়াও অনেক সিনিয়র নেতা ফোন করে বসেন। তাই পুলিশ এত দিন গ্যাং গ্রুপের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারেনি।’ খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এলাকায় আধিপত্য বিস্তারে উত্থান হয়েছে এসব গ্যাং গ্রুপের। চট্টগ্রামে গ্যাং গ্রুপের শুরু হয় জামাল খান এলাকাকেন্দ্রিক। পরে তা নগরের বিভিন্ন এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে। প্রতিটি স্কুল ও কলেজে একাধিক গ্যাং গ্রুপ রয়েছে। এমনকি স্কুলে শ্রেণিভিত্তিক ও এলাকাকেন্দ্রিক গ্রুপও রয়েছে। খেলা কিংবা অন্যান্য বিষয়ে পান থেকে চুন খসলেই এরা নিজেদের মধ্যে সংঘাতে জড়িয়ে পড়ে। শুধু তাই নয়, বিভিন্ন ধরনের মাদক ও অবৈধ অস্ত্র ব্যবহারের অভিযোগ রয়েছে গ্রুপগুলোর বিরুদ্ধে। কিছু কিছু গ্রুপের বিরুদ্ধে ইভ টিজিং ও ছিনতাইয়ের অভিযোগ রয়েছে। এরা সামান্য কোনো বিষয় নিয়েও সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে এবং হতাহতের ঘটনা ঘটায়। বোমাবাজিসহ নানা ধরনের সন্ত্রাসে এরা পারদর্শী হয়ে উঠেছে।
চট্টগ্রামে শতাধিক কিশোর গ্যাং
পড়া যাবে: [rt_reading_time] মিনিটে
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।