হুমায়ুন রশিদ, টেকনাফ :
দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর গতকাল (১৩ নভেম্বর) সোমবার থেকে টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌপথে জাহাজ চলাচল শুরু হয়েছে। উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের প্রক্রিয়া সম্পন্নের পর কক্সবাজারের জেলা প্রশাসন জাহাজ চলাচলে অনুমতি দিয়েছেন। টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌপথের অভিজাত জাহাজ কেয়ারি সিন্দাবাদ টেকনাফের ব্যবস্থাপক মো. শাহ আলম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, বৈরী আবহাওয়া ও রোহিঙ্গা ইস্যুসহ বিভিন্ন অজুহাতে প্রশাসনের অনুমতি না পাওয়ায় পর্যটক মৌসুম শুরু হলেও জাহাজ চলাচল বন্ধ ছিল। প্রশাসনের পক্ষ থেকে সেন্টমার্টিনে জাহাজ চলাচল নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়া হয়েছে। নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়ায় এই রুটে পর্যটকবাহী চলাচলে অনুমতি দিয়েছে নৌ-মন্ত্রণালয়। নৌ-মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে জেলা প্রশাসনও অনুমতি দিয়েছে। এতে করে সেন্টমার্টিনগামী জাহাজ চলাচলে আর কোনো বাধা রইল না। তিনি আরো জানান, টেকনাফের দমদমিয়া ঘাট হয়ে নিয়মিত পথেই জাহাজগুলো চলাচল করবে। দীর্ঘদিন জাহাজ চলাচল বন্ধ থাকায় হোটেল-মোটেল কর্মচারী অভাবে দিনাতিপাত করছিল। অবশেষে অনুমতি নিয়ে সেন্টমার্টিনে জাহাজ চলাচলের সংবাদ পেয়ে আনন্দিত হয়েছেন সেন্টমার্টিনদ্বীপের বাসিন্দাগণ। এদিকে পর্যটকবাহী জাহাজ কেয়ারী সিন্দাবাদ সেন্টমার্টিনে পৌছলে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান-মেম্বারসহ গন্যমান্য ব্যক্তিরা পর্যটকদের ফুলেল শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। বছরের পর্যটন মৌসুমের শুরুতে চেয়ারম্যান, মেম্বার ও ব্যবসায়ীদের ফুলেল শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন পেয়েছেন এই বছরের প্রথম জাহাজে করে আসা পর্যটকরা। সোমবার সকাল সাড়ে নয়টায় টেকনাফের কেয়ারী ঘাটের নিজস্ব জেটি থেকে ৩০৪ জন যাত্রি কেয়ারী সিন্দাবাদ জাহাজটি দুপুর ১২টায় সেন্টমার্টিন ঘাটে পৌছে। জাহাজ আসার খবর শুনে দ্বীপের অধিকাংশ লোকজন পর্যটকদের স্বাগত জানাতে জেটিঘাটে জড়ো হয়। দ্বীপবাসী অত্যান্ত সুন্দর ও ভদ্রতার সহিত পর্যটক, ট্যুরিজম ব্যবসায়ী, জাহাজ পরিচালনাকারীসহ যারা টেকনাফ থেকে কেয়ারী সিন্দাবাদে সেন্টমার্টিন গেছেন সবাইকে আন্তরিক ফুলেল শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান।
স্থানীয় মেম্বার হাবিবুর রহমান হাবিব খাঁন আক্ষেপ করে বলেন, কত মন্ত্রী-এমপি স্বপ্নের সেন্টমার্টিন এসে ঘুরে যায়। কিন্তু দু:খের বিষয় জেটির ভাঙাচোরা করুন দৃশ্য পর্যটকদের মাঝে চরম হতাশায় ফেলে দেয়। এ করুন দৃশ্য দেখে দ্বীপবাসীও মর্মাহত। অনতিবিলম্বে সেন্টমার্টিন দ্বীপের ভাঙা জেটি পুর্নাঙ্গ মেরামত করা হোক কোন ধরনের দুর্ঘটনা যেন না ঘটে।