নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম:

চট্টগ্রাম নগরের ব্যস্ততম সড়ক বায়েজিদ বোস্তামী রোডে শীতল ঝরনা খালের ওপর নির্মিত একটি পুরনো সেতুর এক পাশ ধসে পড়েছে। এতে ওই অংশ দিয়ে যান চলাচল পুরোপুরি বন্ধ হয়ে গেছে। বৃহস্পতিবার (৭ আগস্ট) সকাল ৬টার দিকে নগরের অক্সিজেন এলাকায় সেতুটির এই ধসের ঘটনা ঘটে। বর্তমানে বিপরীত পাশে সীমিত পরিসরে যান চলাচল চললেও তীব্র যানজট দেখা দিয়েছে।

স্থানীয়দের অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরে সেতুটি ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় থাকলেও যথাযথ সংস্কারের কোনো উদ্যোগ নেয়নি কর্তৃপক্ষ। সেতুটি ২ নম্বর গেট থেকে অক্সিজেন পর্যন্ত চলাচলের একটি গুরুত্বপূর্ণ সংযোগ মাধ্যম। শিল্পকারখানা ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসংবলিত এ এলাকায় প্রতিদিন বিপুল পরিমাণ যানবাহন চলাচল করে। ফলে সেতুর ধস জনদুর্ভোগ বাড়িয়ে দিয়েছে বহুগুণে।

চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) দুই প্রকৌশলী জানিয়েছেন, জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্পের আওতায় শীতল ঝরনা খাল সম্প্রসারিত হওয়ায় সেখানে পানিপ্রবাহ বেড়েছে। তবে ইটের তৈরি পুরনো সেতুটি আগের নকশাতেই রয়ে গেছে। এর ফলে সেতুর নিচের মাটি ও পার্শ্ববর্তী দেয়াল ক্ষয়ে যেতে থাকে। বৃহস্পতিবার ভোরে টানা ভারী বৃষ্টিপাতের চাপে সেতুটি ভেঙে দুই ভাগ হয়ে যায়।

চসিকের প্রধান প্রকৌশলী মো. আনিসুর রহমান বলেন, “সেতুটি ১৯৮০ সালের দিকে নির্মিত হয় এবং দীর্ঘদিন ধরে এটি ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। খাল প্রশস্ত হওয়ার ফলে পানির চাপ বেড়ে গেছে। আমরা আগে থেকেই সেতুটি সংস্কারে পাঁচ কোটি টাকার একটি প্রকল্প প্রস্তাব করেছি। বর্তমানে দরপত্র আহ্বানের প্রক্রিয়া চলছে এবং দ্রুত কাজ শুরু করা হবে।”

এ বিষয়ে বায়েজিদ বোস্তামী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) শামসুল ইসলাম জানান, “সকালেই সেতুর এক পাশ ধসে পড়ে। ফলে ওই পাশ দিয়ে যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। বাকি পাশ দিয়েও সীমিত আকারে যান চলাচল করছে, তবে সেটিও ঝুঁকিপূর্ণ।”

স্থানীয় বাসিন্দারা দ্রুত বিকল্প সেতু নির্মাণ ও জরুরি সংস্কার কাজ শুরুর দাবি জানিয়েছেন। বিশেষজ্ঞদের মতে, বর্ষা মৌসুমে এমন ভাঙন আরও বড় ধরনের বিপর্যয়ের কারণ হতে পারে।