আবদুর রশিদ, নাইক্ষ্যংছড়ি;
সীমান্ত রক্ষা ছাড়াও মানবিক ও সামাজিক কর্মকাণ্ডে বাংলাদেশ বর্ডার গার্ড (বিজিবি) যে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে, তার এক উজ্জ্বল উদাহরণ মিলেছে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়িতে।
রোববার (২১ জুলাই ২০২৫) সকালে নাইক্ষ্যংছড়ি ব্যাটালিয়ন (১১ বিজিবি) সদর দপ্তরে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে অসহায় ও দুঃস্থ পরিবারের মাঝে আর্থিক সহায়তা এবং দরিদ্র ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের মাঝে শিক্ষাবৃত্তি বিতরণ করা হয়। পাশাপাশি সীমান্ত নিরাপত্তা বিষয়ক সচেতনতামূলক আলোচনা সভাও অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ব্যাটালিয়ন অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল এস কে এম কপিল উদ্দিন কায়েস। তিনি বলেন, “আমরা শুধু সীমান্ত পাহারা দেই না, সীমান্ত এলাকার মানুষের কল্যাণেও কাজ করতে চাই। বিজিবি চায়—এই অঞ্চলের মানুষ শিক্ষিত, আত্মনির্ভরশীল ও সচেতন হোক।”
তিনি আরও বলেন, “মাদক, অস্ত্র, চোরাচালান ও অনুপ্রবেশ—এসব জাতীয় নিরাপত্তার জন্য হুমকি। এই বিষয়ে সাধারণ মানুষকেই প্রথমে সতর্ক হতে হবে।”
অনুষ্ঠানে প্রায় শতাধিক দরিদ্র ও মেধাবী শিক্ষার্থীকে শিক্ষাবৃত্তি প্রদান করা হয়। এর মধ্যে মংচাচিং চাক নামের এক ছাত্র বলেন,“আমার বই কেনার টাকা ছিল না। এই বৃত্তির টাকায় এখন বই-খাতা কিনতে পারব। আমি বড় হয়ে সেনা অফিসার হতে চাই।”
অপরদিকে, আর্থিক সহায়তা পাওয়া শামশুন নাহার আলম (৮০) বলেন, “আমার ঘরে এখনো চাল নেই। বিজিবির এই সহায়তা পেয়ে মনে হলো—আমার পাশে কেউ আছে। আল্লাহ ওনাদের ভালো রাখুক।”
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিজিবির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, শিক্ষক, সাংবাদিক ও ধর্মীয় নেতৃবৃন্দ। আয়োজনটি ছিল সুশৃঙ্খল, প্রাণবন্ত ও আবেগঘন।
সাংবাদিক আবদুর রশিদ বলেন, “এই উদ্যোগ শুধু মানবিক সহায়তা নয়, সীমান্ত এলাকার সামাজিক স্থিতিশীলতা ও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায়ও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।”
নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তে ১১ বিজিবির এই মহতী উদ্যোগ প্রমাণ করেছে—বিজিবি কেবল সীমান্তের প্রহরী নয়, মানুষের বিশ্বস্ত অভিভাবকও।
স্লোগান: “সীমান্ত সুরক্ষিত থাকুক, জনগণ থাকুক নিরাপদ ও সচেতন—এই হোক বিজিবির অঙ্গীকার।”
