সিবিএন ডেস্ক ;
পর্যটন শহর কক্সবাজারের সুগন্ধা পয়েন্ট এলাকায় অবৈধভাবে গড়ে ওঠা প্রায় ২০০ কোটি টাকা মূল্যের ২ একর ৩০ শতাংশ সরকারি জমি উদ্ধার করেছে প্রশাসন। একইসঙ্গে উচ্ছেদ করা হয়েছে শতাধিক অবৈধ স্থাপনা।
বুধবার (৪ জুন) সন্ধ্যায় কক্সবাজার সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) শারমিন সুলতানার নেতৃত্বে টানা তিন ঘণ্টার অভিযানে এই জমি দখলমুক্ত করা হয়। অভিযানে অংশ নেন পুলিশ ও আনসার সদস্যরা। একটি স্কেভেটরের মাধ্যমে দোকানঘরগুলো গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়।
সহকারী কমিশনার শারমিন সুলতানা জানান, ওবায়দুল হাসান নামে এক ব্যক্তির নেতৃত্বে একটি চক্র ভুয়া খতিয়ান ও জাল কাগজপত্র তৈরি করে সরকারি জমিটি জবরদখল করেছিল। এমনকি চক্রটি ভুয়া তথ্য দিয়ে উচ্চ আদালতে রিটও করেছিল। আদালতের রায় অনুযায়ী বুধবার অভিযান চালিয়ে অবৈধ স্থাপনাগুলো উচ্ছেদ করা হয়।
অভিযানের সময় অভিযুক্তদের কয়েকজন ভ্রাম্যমাণ আদালতের সামনে জাল কাগজ দেখিয়ে অভিযান বন্ধের চেষ্টা করে এবং বাকবিতণ্ডায় জড়ায়, তবে প্রশাসনের কড়াকড়ির কারণে তারা ব্যর্থ হয়।
এর আগে, গত ৫ মে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) ওই জমি দখলের বিষয়ে অভিযান চালিয়ে সরকারি জমি জবরদখলের প্রমাণ পেয়েছিল।
এছাড়া, ২০২৪ সালের ১২ জুন সরকারি কাগজপত্র জালিয়াতির অভিযোগে সাচ্চিদানন্দ সেন গুপ্ত নামে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (কউক) আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য জেলা প্রশাসকের কাছে লিখিত চিঠি দেয়।
কউকের ভূমি ব্যবহারের অনুমোদনপত্রেও স্পষ্টভাবে বলা হয়েছে, ঝিলংজা মৌজার বি.এস খতিয়ান নং-৭৯০০, আর.এস দাগ নং-৫৪৬ ও ২০০০৩/৩০৪৩২ নম্বর জমি আবাসিক হোটেল, কটেজ বা বাণিজ্যিক ব্যবহারের জন্য অনুমোদিত নয়।
এই দখলবাজ চক্রের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে জানা গেছে।