জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের সভা শেষে আজ এক অনির্ধারিত বৈঠকে মিলিত হয় অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ। রাজধানীর শের-ই-বাংলা নগরের পরিকল্পনা কমিশনে অনুষ্ঠিত এই বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস।
বৈঠকে অন্তর্বর্তী সরকারের তিনটি প্রধান দায়িত্ব—নির্বাচন, সংস্কার ও বিচার—নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। উপদেষ্টারা মত দেন, এসব দায়িত্ব পালনের পথে বিভিন্ন অযৌক্তিক দাবি, উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বক্তব্য ও এখতিয়ার বহির্ভূত কর্মসূচি পরিবেশকে অস্থিতিশীল করছে এবং জনমনে সন্দেহ সৃষ্টি করছে।
উপদেষ্টা পরিষদ মনে করে, দেশে স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে এবং নির্বাচনী ও সংস্কার কর্মসূচি সফলভাবে বাস্তবায়ন করতে একটি বৃহত্তর জাতীয় ঐক্য অপরিহার্য। এই লক্ষ্যে সরকারের পক্ষ থেকে রাজনৈতিক দলগুলোর বক্তব্য শোনা হবে এবং সরকারের অবস্থান জনসমক্ষে স্পষ্টভাবে তুলে ধরা হবে।
বৈঠকে উপদেষ্টারা বলেন, শত বাধা সত্ত্বেও গোষ্ঠীস্বার্থকে উপেক্ষা করে সরকার তার উপর অর্পিত দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছে। তবে কোনো পরাজিত গোষ্ঠী কিংবা বিদেশি ষড়যন্ত্রের কারণে যদি সেই দায়িত্ব পালন অসম্ভব হয়ে ওঠে, তাহলে সরকার সকল তথ্য ও কারণ জনসমক্ষে প্রকাশ করে পরবর্তী করণীয় নির্ধারণ করবে।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকার জুলাই অভ্যুত্থানের পর জনআকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন হিসেবে কাজ করে যাচ্ছে—বলে জানানো হয়। তবে সরকারের স্বকীয়তা ও দায়িত্ব পালনে বাধা সৃষ্টি করলে জনগণের সমর্থনে সরকার কঠোর সিদ্ধান্ত গ্রহণে বাধ্য হবে বলেও বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়।
