নিজস্ব প্রতিবেদক
চট্টগ্রামের আলোচিত সন্ত্রাসী আলী আকবর ওরফে ‘ঢাকাইয়া আকবর’ (৪৪) প্রতিপক্ষ সন্ত্রাসীদের গুলিতে গুরুতর আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় গুলিবিদ্ধ হয়েছেন আরও দুজন নিরীহ পথচারী—একজন ৮ বছরের শিশু মহিম ইসলাম রাতুল, অপরজন ইনসেপ্টা ফার্মাসিউটিক্যালসের কর্মকর্তা জান্নাতুল বাকী (৩০)। তিনজনই চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
শুক্রবার (২৩ মে) রাত সাড়ে ৮টার দিকে পতেঙ্গা সমুদ্রসৈকতে এ ঘটনা ঘটে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, আকবর সৈকতের একটি দোকানে বসে ছিলেন। এ সময় হঠাৎ মোটরসাইকেলে করে আসা অস্ত্রধারীরা তাকে লক্ষ্য করে এলোপাতাড়ি গুলি চালায়। গুলিতে আকবরের পা, বুকে, হাতে ও পেটে আঘাত লাগে। ঘটনার সময় উপস্থিত সুন্দরী তরুণী নুসরাত জাহানও ছিলেন আকবরের সঙ্গে, যিনি পরে হামলাকারীদের সঙ্গে ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন।
আকবর নিজেই আহত অবস্থায় চিৎকার করে বলেন, “আমার নাম ঢাকাইয়া আকবর, আমাকে গুলি করেছে রায়হান, খোরশেদ, ইমন ও বোরহান। মেয়েটার সাথে আজ প্রথম দেখা।” পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেয়।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, গুলির শব্দে সৈকতে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। এ সময় গুলিবিদ্ধ হন পথচারী রাতুল ও বাকী। স্থানীয়রা ঘটনাস্থল থেকে ৯ মিমি পিস্তলের ৭টি গুলির খোসা উদ্ধার করে। পুলিশের একজন কর্মকর্তা জানান, ব্যবহৃত অস্ত্রগুলো আধুনিক হ্যান্ডগান, যা অবৈধভাবে বাংলাদেশে সন্ত্রাসীরা ব্যবহার করে।
সিএমপি বন্দর জোনের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার সোহেল পারভেজ বলেন, “এই হামলা পূর্বপরিকল্পিত। এটি সন্ত্রাসী গ্রুপগুলোর অভ্যন্তরীণ বিরোধের ফল। হামলাকারীদের শনাক্তে তদন্ত চলছে।”
পুলিশের প্রাথমিক ধারণা, বন্দী সন্ত্রাসী সাজ্জাদ হোসেন ও প্রতিপক্ষ সরোয়ার গ্রুপের মধ্যে দীর্ঘদিনের বিরোধের জের ধরেই এ হামলা হয়। এর আগে ২৯ মার্চ সরোয়ারকে লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয়েছিল, যাতে দুজন নিহত হন। এলাকাবাসী ও স্বজনদের দাবি, হামলায় সাজ্জাদের অনুসারীরাই জড়িত।
স্থানীয় বাসিন্দা ও ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, সৈকতে পুলিশের টহল দুর্বল থাকায় এমন হামলার ঘটনা ঘটছে বারবার। তারা দ্রুত সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তার এবং সৈকতের নিরাপত্তা জোরদারের দাবি জানিয়েছেন।
