মো. আরাফাত সানি, টেকনাফ;

কক্সবাজারের টেকনাফ সদর ইউনিয়নের তুলাতলী মৎস্য ঘাটে কোস্ট গার্ডের অভিযানের সময় গোলাগুলির ঘটনায় তিন রোহিঙ্গা আটক হয়েছে। এদের একজন গুলিবিদ্ধ অবস্থায় রয়েছেন। ঘটনায় আরও একজন জেলে নিখোঁজ আছেন। অভিযানের সময় জব্দ করা হয়েছে ৩০ হাজার ইয়াবা, একটি বিদেশি পিস্তল ও চার রাউন্ড গুলি।

মো. ইলিয়াস, নুর মোহাম্মদ ও গুলিবিদ্ধ আব্দুল শক্কুর। তারা উখিয়ার কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বাসিন্দা। অভিযানের সময় পাচারচক্রের আরও চার সদস্য সাগরে লাফিয়ে পালিয়ে যায় বলে জানিয়েছে কোস্ট গার্ড।

সোমবার দুপুরে সংবাদমাধ্যমে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে কোস্ট গার্ডের মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কমান্ডার হারুন-অর-রশীদ জানান, “গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রবিবার দিবাগত রাত ২টা ৩০ মিনিটে কোস্ট গার্ডের একটি টিম টেকনাফের মেরিন ড্রাইভ সংলগ্ন তুলাতলী ঘাট এলাকায় অভিযান চালায়। অভিযানে সন্দেহজনক একটি ইঞ্জিনচালিত কাঠের নৌকাকে থামার সংকেত দিলে পাচারকারীরা গুলি ছুঁড়ে পালানোর চেষ্টা করে। আত্মরক্ষার্থে কোস্ট গার্ডও পাল্টা গুলি চালায়। একপর্যায়ে পাচারকারী আব্দুল শক্কুর গুলিবিদ্ধ হন এবং এক ঘণ্টার ধাওয়ার পর নৌকাটি জব্দ করা হয়।”

পরে তল্লাশিতে নৌকা থেকে ৩০ হাজার ইয়াবা, একটি বিদেশি পিস্তল ও চার রাউন্ড তাজা গুলি উদ্ধার করা হয়। গুলিবিদ্ধ শক্কুরকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

টেকনাফ মডেল থানার ওসি মো. গিয়াস উদ্দিন জানান, “আমি এখনো এ বিষয়ে বিস্তারিত অবগত নই। সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত থানায় কোনো মামলা হয়নি।”

টেকনাফ সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জিয়াউর রহমান জিহাদ বলেন, “সাগরে মাছ ধরার ওপর ৫৮ দিনের নিষেধাজ্ঞা চলমান। বিষয়টি শুনেছি, তবে সঠিকভাবে এখনও অবগত হইনি। শুনেছি একজন জেলে নিখোঁজ রয়েছেন।”

স্থানীয় নৌঘাটের সভাপতি মো. হোসাইন বলেন, “জেলেরা জীবিকার তাগিদে সাগরে যাচ্ছিলেন। হঠাৎ কোস্ট গার্ড গুলিবর্ষণ করে, এতে দুজন জেলে গুলিবিদ্ধ হন। ট্রলারের মাঝি আবু তাহের এখনো নিখোঁজ। তার স্ত্রী রফিকা জানিয়েছেন, তাকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।”

ঘটনার প্রকৃত কারণ ও নিখোঁজ জেলের ভাগ্য নিয়ে স্থানীয়দের মাঝে চরম উদ্বেগ বিরাজ করছে।