আব্দুস সালাম, টেকনাফ:
টেকনাফের হ্নীলায় এক গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বুধবার ভোরে উপজেলার হ্নীলা ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের রোজারঘোনা এলাকা থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।
নিহতের পরিবারের অভিযোগ, যৌতুক দিতে অস্বীকৃতি জানানোয় স্বামী ও তার পরিবারের নির্যাতনে ওই গৃহবধূর মৃত্যু হয়েছে। হত্যার পর ঘটনাটিকে আত্মহত্যা বলে চালিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করা হয়।
নিহত লুলুয়ান মরজান হিরা (১৭) হ্নীলা ইউনিয়নের পূর্ব সিকদারপাড়া এলাকার মাস্টার মীর কাশেমের মেয়ে।
পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, পাঁচ মাস আগে রোজারঘোনা এলাকার নুর আহাম্মদের ছেলে আব্বাস উদ্দিনের (২২) সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে মরজানের। একপর্যায়ে পরিবারের অজান্তে তারা পালিয়ে বিয়ে করে। বিয়ের তিন মাসের মাথায় আব্বাস যৌতুক দাবি করে এবং এ নিয়ে তাদের মধ্যে একাধিকবার ঝগড়া হয়। এরই ধারাবাহিকতায় মঙ্গলবার গভীর রাতে আব্বাস মরজানকে মারধর করে, যার ফলে তার মৃত্যু হয় বলে অভিযোগ পরিবারটির।
নিহতার দুলাভাই নুরুল ইসলাম বলেন, ‘রাতে আব্বাসের বড় ভাই আমাকে ফোন দিয়ে জানায়, আমার শ্যালিকা আত্মহত্যা করেছে। পরে ভোরে গিয়ে দেখি পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করেছে।’
টেকনাফ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন বলেন, “মরদেহ উদ্ধার করে সুরতহাল শেষে ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।”
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।
