আবদুস সালাম, টেকনাফ;

কক্সবাজারের টেকনাফে নাফ নদীর দুটি পৃথক স্থানে একযোগে গুলিবর্ষণ করেছে মিয়ানমারের সশস্ত্র বিদ্রোহী সংগঠন আরাকান আর্মি (এএ)। এই হামলায় একদিকে দুই জেলে গুলিবিদ্ধ হয়েছেন, অন্যদিকে তিন বাংলাদেশিকে ধরে নিয়ে গেছে সংগঠনটি।

সোমবার (১২ মে) দুপুরে টেকনাফের সাবরাং ও লেদা সীমান্তে এই ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট জনপ্রতিনিধিরা।

গুলিবিদ্ধরা হলেন টেকনাফ উপজেলার শাহপরীর দ্বীপ জালিয়াপাড়ার বাসিন্দা হেদায়েত উল্লাহ (১৭) ও মো. হোসেন (১৬)।
টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শেখ এহসান উদ্দিন জানান, “নাফ নদীতে মাছ ধরতে গেলে আরাকান আর্মির সদস্যরা দুই জেলের ওপর গুলি চালায়। একজনের ডান হাঁটুতে ও অন্যজনের বাম পায়ে গুলি লাগে।”
তবে রাত ৮টা পর্যন্ত কক্সবাজার সদর হাসপাতালে এমন কোনো গুলিবিদ্ধ রোগী ভর্তি হয়নি বলে জানিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

দুপুরে লেদা সীমান্ত ঘেঁষা নাফ নদী থেকে তিন বাংলাদেশিকে ধরে নিয়ে গেছে বলে জানিয়েছেন হ্নীলা ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলী।
নিখোঁজরা হলেন—সিদ্দিক হোসেন (২৭), রবিউল আলম (২৭) ও মাহমুদ হোসেন (৩০)। তারা সবাই হ্নীলা ইউনিয়নের পূর্ব লেদার লামারপাড়া এলাকার বাসিন্দা।

মোহাম্মদ আলী বলেন, “তারা তিনজনই জেলে নন। তবে স্থানীয়রা জানায়, তারা নৌকা নিয়ে নদীতে নামেন এবং আরাকান আর্মির গুলির মুখে পড়ে ধরা পড়েন। বিষয়টি আমি প্রশাসনকে জানিয়েছি।”

টেকনাফ-২ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আশিকুর রহমান বলেন, “লেদা সীমান্তের ঘটনাটি আমরা জেনেছি। নিখোঁজ ব্যক্তিরা সত্যি জেলে, না মাদক ব্যবসায়ী—তা এখনো নিশ্চিত নয়। ওই এলাকা মাদকের রুট হিসেবে পরিচিত। তারা মাদক আনতে গিয়েছিল কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। পাশাপাশি নিখোঁজদের ফিরিয়ে আনার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।”