আবুল কাশেম, রামু;
মন্ত্রিপরিষদ সচিব ড. শেখ আবদুর রশিদ বলেছেন,”আজ ভগবতী বুদ্ধের জন্মতিথি, বোধিজ্ঞান লাভ ও মহাপরিনির্বাণ দিবস—এই তিনটি মহান স্মৃতির সম্মিলনে এক মহামিলন উৎসব। মহামতি গৌতম বুদ্ধ সৎকর্ম, সৎচিন্তা এবং অহিংস নীতির মধ্য দিয়ে মানব সমাজে শান্তির বার্তা ছড়িয়ে দিতে চেয়েছেন। তিনি একনিষ্ঠ সাধনার মাধ্যমে যে জ্ঞান অর্জন করেছিলেন, তা বাস্তব জীবনে প্রয়োগযোগ্য এবং মানব সমাজে শান্তি ও আলোর পথে পরিচালনার জন্য তা ছড়িয়ে দিতে চেয়েছেন।”
তিনি বলেন, “মানুষের একক সত্তা যেন আলোকিত হয়, তারা যেন সৎচিন্তা ও সৎকর্মে উদ্বুদ্ধ হয়—তবেই পৃথিবীতে শান্তি বিরাজ করবে। বৌদ্ধ ধর্ম শুধু বৌদ্ধদের শান্তি চায় না, বরং সকল ধর্ম, জাতি ও গোত্রের মানুষ ও প্রাণীকুলের শান্তির জন্যই কাজ করে। এই সাম্য ও শান্তির দর্শন নিয়েই মহামতি বুদ্ধ সমাজকে আলোকিত করার দীক্ষা দিয়েছেন।”
শনিবার (১০ মে) সন্ধ্যা ৭টায় রামু খিজারী সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে অনুষ্ঠিত বৌদ্ধ পূর্ণিমা ২০২৫ উপলক্ষে আয়োজিত সাংস্কৃতিক উৎসবে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
সাংস্কৃতিক বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে এবং বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির আয়োজনে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সালাহ উদ্দিন।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মোহাম্মদ ইউসুফ, অর্থ বিভাগের সচিব ড. মোহাম্মদ খায়েরুজ্জামান মজুমদার, অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব মো. শাহরিয়ার কাদের সিদ্দিকী, রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. ফাহিমুল ইসলাম, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব মাহাবুবুর রহমান এবং শিল্পকলা একাডেমির উপপরিচালক এস. এম. শামীম আকতার।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন রামু উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রাশেদুল ইসলাম, সহকারী কমিশনার (ভূমি) সাজ্জাদ জাহিদ রাতুলসহ প্রশাসনের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা, রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
ধর্মীয় আলোচনায় অংশ নেন রামুর বিভিন্ন বিহারের মহাথেরো গণ। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন অধ্যাপক নীলোৎপল বড়ুয়া এবং শিল্পকলা একাডেমির সুদীপ্তা চক্রবর্তী।
সাংস্কৃতিক উৎসবে স্থানীয় শিল্পীদের পরিবেশনায় বৌদ্ধ ধর্মীয় সংগীত পরিবেশন করা হয়।