আজিজুর রহমান রাজু, কক্সবাজার ;

মানবিক পৃথিবী গঠনে বিশ্বব্যাপী রেড ক্রস ও রেড ক্রিসেন্ট আন্দোলনের ৭টি মূলনীতি ধারণ করে মানবসেবায় নিজেদের নিয়োজিত রাখার অঙ্গীকারকে গুরুত্ব দিয়ে এ বছরের প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করা হয়েছে—“মানবতার পাশে একসাথে”।

বৃহস্পতিবার (৮ মে) সকালে কক্সবাজার জেলা রেড ক্রিসেন্ট ইউনিটে জাতীয় পতাকা, রেড ক্রস-রেড ক্রিসেন্ট আন্দোলনের পতাকা এবং রেড ক্রিসেন্ট পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে দিবসের কর্মসূচি শুরু হয়।

এ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তা, ইন্টারন্যাশনাল ফেডারেশন অব রেড ক্রস অ্যান্ড রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটিজ (IFRC), বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির কক্সবাজার ইউনিট, পপুলেশন মুভমেন্ট অপারেশন (PMO), মিয়ানমার রিফিউজি রিলিফ অপারেশন (MRRO) এবং পার্টনার ন্যাশনাল সোসাইটিগুলোর প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

সকালেই জেলা ইউনিট থেকে একটি বর্ণাঢ্য র‌্যালি বের হয়, যা হলিডে মোড় প্রদক্ষিণ করে ইউনিট প্রাঙ্গণে এসে শেষ হয়। এতে জেলার বিভিন্ন উপজেলা থেকে আগত প্রায় পাঁচ শতাধিক যুব স্বেচ্ছাসেবক ও বিভিন্ন স্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা অংশ নেন।

দিবসটি উপলক্ষে আলোচনা সভা, শিক্ষামূলক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, শিশুদের চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরণসহ নানা কর্মসূচি আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে ইউনিট লেভেল অফিসার আসশাদুল হায়দার চৌধুরী পমির সঞ্চালনায় বক্তারা বলেন, মানবতার কল্যাণে রেড ক্রিসেন্ট নিরপেক্ষতা, নিষ্ঠা ও সততার সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছে এবং আগামীতেও এ ধারা অব্যাহত থাকবে।
বিশ্বের অন্যতম বড় শরণার্থী সংকট মোকাবিলায় রেড ক্রিসেন্টের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার কথা তুলে ধরেন বক্তারা। তারা বলেন, স্বেচ্ছাসেবকদের নিষ্ঠা ও যুব সদস্যদের কর্মোদ্যম রেড ক্রিসেন্টের কার্যক্রমকে আন্তর্জাতিক মানে পৌঁছে দিয়েছে।

উল্লেখ্য, ১৮২৮ সালের ৮ মে রেড ক্রসের প্রতিষ্ঠাতা জিন হেনরি ডুনান্ট সুইজারল্যান্ডের জেনেভা শহরে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁকে শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করতে প্রতিবছর এই তারিখে বিশ্বব্যাপী রেড ক্রস ও রেড ক্রিসেন্ট দিবস পালিত হয়।
এই ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশের ৬৮টি ইউনিটের মতো কক্সবাজার ইউনিটও যথাযোগ্য মর্যাদা ও গুরুত্বের সঙ্গে দিবসটি পালন করে।