কুড়িগ্রামের ভুরুঙ্গামারী উপজেলার ভাওয়ারগুড়ি সীমান্ত থেকে ১৪ জন রোহিঙ্গাকে আটক করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। বুধবার (৭ মে) ভোরে স্থানীয় নতুনহাট বাজার থেকে তাদের আটক করা হয়।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ভোরে নতুনহাট বাজারে শিশুসহ ১৪ জন অপরিচিত নারী-পুরুষকে ঘোরাঘুরি করতে দেখে স্থানীয়রা তাদের সন্দেহজনক মনে করে বিজিবিকে খবর দেয়। বিজিবি সদস্যরা এসে তাদের আটক করে প্রথমে ভাওয়ালকুড়ি বিজিবি ক্যাম্পে নিয়ে যায় এবং পরে সোনাহাট বিজিবি ক্যাম্পে হস্তান্তর করে।

চরভুরুঙ্গামারী ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম জানান, স্থানীয়রা অপরিচিত ১৪ জন লোককে আটক করে তার কাছে নিয়ে আসে। পরে তিনি বিজিবিকে খবর দেন। আটককৃতরা জানিয়েছে, তারা ভারত থেকে সীমান্ত পাড়ি দিয়ে বাংলাদেশে এসেছে।

বিজিবির এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, কুড়িগ্রাম ব্যাটালিয়ন (২২ বিজিবি)-এর অধীন ভাওয়ালকুড়ি বিওপির দায়িত্বপূর্ণ এলাকার সীমান্ত হতে ৭ মে আনুমানিক সকাল ৬টায় আনুমানিক ৩ কিলোমিটার বাংলাদেশের অভ্যন্তরে চরভুরুঙ্গামারী ইউনিয়নের নতুনহাট বাজার থেকে ১৪ জন বাস্তুচ্যুত মিয়ানমার নাগরিককে আটক করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা জানান, দালালের মাধ্যমে ভালো কাজের আশ্বাসে তারা কুড়িগ্রাম জেলায় এসেছেন। তারা কক্সবাজার জেলার উখিয়ার কুতুপালং ক্যাম্পে আশ্রিত ছিলেন। ঘটনার বিস্তারিত অনুসন্ধানের কার্যক্রম চলমান রয়েছে।

স্থানীয়রা জানান, আটককৃতরা দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় অবস্থান করছিলেন এবং তাদের আচরণে সন্দেহজনক কিছু ছিল। তাদের উপস্থিতি এলাকায় উদ্বেগ সৃষ্টি করেছিল। স্থানীয়রা বিজিবিকে খবর দেয়ার পর তারা দ্রুত ব্যবস্থা নেয়।

ভুরুঙ্গামারী থানার ওসি আল হেলাল মাহমুদ কালবেলা জানান, ১৪ জন রোহিঙ্গাকে আটকের খবর বিজিবি মোবাইল ফোনে জানিয়ে দিয়েছে। এখন পর্যন্ত আটককৃতদের থানায় সোপর্দ করা হয়নি।

কুড়িগ্রাম ২২ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল মোহাম্মদ মাহবুব উল হক জানান, ভুরুঙ্গামারীর ভাওয়ালকুড়ি সীমান্ত এলাকায় ৮ নারী ও শিশুসহ ১৪ জনকে আটক করা হয়েছে। তারা সবাই রোহিঙ্গা।