সিবিএন ডেস্ক ;

দীর্ঘ আট বছর পর নাফ নদে মাছ ধরার অনুমতি পেয়েছেন স্থানীয় জেলেরা। ২০১৮ সালে মায়ানমার থেকে ইয়াবা পাচার বন্ধের অজুহাতে স্বৈরাচার সরকার এই নিষেধাজ্ঞা দেয়। তবে নিষেধাজ্ঞা থাকার পরও ইয়াবা পাচার পুরোপুরি বন্ধ হয়নি, আর এতদিন ধরে জেলেরা চরম আর্থিক সংকটে দিন কাটাচ্ছিলেন।

অনেক দেন-দরবারের পরও জেলেরা এতদিন নদে নামতে পারেননি। অবশেষে হাইকোর্টে দায়ের করা রিট পিটিশনের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার, ১৩ ফেব্রুয়ারি, কক্সবাজার জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সহকারী কমিশনার মো. কামরুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক চিঠির মাধ্যমে মাছ ধরার অনুমতি দেওয়া হয়।

হাইকোর্টের নির্দেশনা অনুযায়ী, সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত বাংলাদেশের সীমানার অভ্যন্তরে নাফ নদে শাহপরীর দ্বীপ থেকে টেকনাফ জেটিঘাট পর্যন্ত মাছ ধরতে পারবেন জেলেরা। মাছ ধরতে যাওয়ার সময় বিজিবির পাঁচটি নির্ধারিত চেক পোস্টে টোকেন বা পরিচয়পত্র দেখাতে হবে এবং ফেরার সময় চেক পোস্টে তল্লাশির জন্য বিজিবি সদস্যদের সহায়তা করতে হবে। কোনো জেলে চেক পোস্টে না জানিয়ে মাছ ধরতে পারবেন না, আর বাংলাদেশের সীমানা অতিক্রম করাও নিষিদ্ধ। শুধুমাত্র মৎস্য অধিদপ্তরের নিবন্ধিত জেলেদেরই এই অনুমতি দেওয়া হয়েছে, যাতে অন্য কেউ অবৈধভাবে মাছ ধরতে না পারে।

এই অনুমতি সম্পূর্ণ সাময়িক এবং তিন মাস পর সীমান্ত পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ এহসান উদ্দিন জানিয়েছেন, প্রশাসনের পক্ষ থেকে জেলেদের সঙ্গে আলোচনা করে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

টেকনাফ মৎস্যজীবী সমিতির সভাপতি আমান উল্লাহ জানিয়েছেন, প্রাথমিকভাবে অনুমতি পাওয়ায় জেলেরা খুশি। তবে তিনি মনে করেন, রাতের বেলায় মাছ ধরার অনুমতি না দিলে জেলেদের আর্থিকভাবে টিকে থাকা কঠিন হবে, কারণ রাতেই বেশি মাছ ধরা পড়ে।