রাজশাহীর সারদা পুলিশ একাডেমিতে সংযুক্ত থাকা গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের (জিএমপি) সাবেক কমিশনার, উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি) মোল্যা নজরুল ইসলামসহ চারজনকে আটক করেছে পুলিশ।
শুক্রবার ও শনিবার (৭-৮ ফেব্রুয়ারি) পুলিশের বিভিন্ন ইউনিট পৃথক অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করে। এরপর তাদের ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) কার্যালয়ে নেওয়া হয়। যদিও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এখনো আনুষ্ঠানিক কোনো ঘোষণা দেয়নি, তবে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ এবং একাধিক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
মোল্যা নজরুল ইসলামের পাশাপাশি আটক হওয়া অন্য তিনজন হলেন— নীলফামারীর ইন সার্ভিস ট্রেনিং সেন্টারের কমান্ড্যান্ট পুলিশ সুপার আসাদুজ্জামান, রংপুর রেঞ্জে সংযুক্ত পুলিশ সুপার আব্দুল মান্নান এবং বাগেরহাটের সাবেক পুলিশ সুপার আবুল হাসনাত।
আটক কর্মকর্তাদের মধ্যে আবুল হাসনাত ২০২৪ সালের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন দমনে সক্রিয় ভূমিকা রেখেছিলেন। অন্যদিকে, আব্দুল মান্নান কুমিল্লা ও সিলেটে পুলিশ সুপার থাকাকালে ছাত্র-জনতার আন্দোলন দমনে কঠোর শক্তি প্রয়োগ করেছিলেন। তার বিরুদ্ধে সিটিটিসিতে থাকাকালীন সময়ে জঙ্গি নাটক সাজানোর একাধিক অভিযোগও ছিল।
মোল্যা নজরুল ইসলামকে ২০২৩ সালের ৩১ মে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ থেকে সরিয়ে আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) ডিআইজি করা হয়। পরে তিনি পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগে (সিআইডি) বদলি হন এবং সর্বশেষ তাকে রাজশাহীর সারদা পুলিশ একাডেমিতে সংযুক্ত করা হয়। তিনি বিসিএস পুলিশ ক্যাডারের ২০তম ব্যাচের কর্মকর্তা।
এখন পর্যন্ত তাদের আটকের কারণ সম্পর্কে আনুষ্ঠানিক কোনো ব্যাখ্যা পাওয়া যায়নি। তবে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে পুলিশ প্রশাসনের ভেতরে বেশ আলোচনা চলছে।