চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের কর্ণফুলী সেতুর টোলপ্লাজায় যানজট ও উত্তেজনার মধ্যে শুক্রবার (২৪ জানুয়ারি) ঘটে যাওয়া ঘটনাটি নিয়ে নতুন করে আলোচনায় এসেছেন দক্ষিণ জেলা বিএনপি’র সাবেক প্রচার সম্পাদক ও লোহাগাড়া উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক নাজমুল মোস্তফা আমিন। তিনি চট্টগ্রাম প্রতিদিন কার্যালয়ে এসে নিজের বক্তব্য তুলে ধরেন।

নাজমুল মোস্তফা আমিন জানান, যানজটের কারণে জুমার নামাজ আদায় করতে না পেরে ক্ষুব্ধ মুসল্লিরা উত্তেজিত হয়ে রাস্তায় নেমে পড়েছিল। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে এবং সম্পদের ক্ষতি এড়াতে তিনি এগিয়ে আসেন। তিনি বলেন, “আমি আমার রাজনৈতিক পরিচয় দিয়ে উত্তেজিত জনতাকে শান্ত রাখার চেষ্টা করেছি। কিন্তু উল্টো রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার হয়েছি।”

তিনি আরও উল্লেখ করেন যে, টোলপ্লাজায় কর্মচারী লাঞ্ছনার অভিযোগটি ভুলভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে। “আমি কারো গায়ে হাত তুলিনি। উত্তেজিত জনতাকে শান্ত করতে টোলপ্লাজা কর্তৃপক্ষের একজন কর্মচারীর সঙ্গে কড়া কথা বলেছি। এমনকি আমার ব্যক্তিগত টাকাও দিয়েছি, যাতে কাজটি দ্রুত সম্পন্ন হয়।”

এ বিষয়ে অন্য একটি অভিযোগ প্রসঙ্গে তিনি জানান, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন ওই সময় টোলপ্লাজায় উপস্থিত ছিলেন না। মেয়র তখন চট্টগ্রাম শহর থেকে সাতকানিয়ার উদ্দেশে রওনা হন।

কর্ণফুলী সেতুর টোলপ্লাজা কর্তৃপক্ষ জানান, যানজটের মূল কারণ অতিরিক্ত যানবাহনের চাপ। বিশেষত, গ্রামের সিএনজি অটোরিকশা এবং পর্যটকের ভিড়ের কারণে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়।

স্থানীয়রা জানিয়েছেন, কর্ণফুলী সেতুর টোলপ্লাজায় যানজট কোনো নতুন সমস্যা নয়। বৃহস্পতিবার, শুক্রবার এবং শনিবারের মতো বিশেষ দিনে এই ভোগান্তি চরম আকার ধারণ করে। রোগী পরিবহনকারী অ্যাম্বুলেন্সসহ সাধারণ যাত্রীরা তীব্র দুর্ভোগে পড়েন।

বিএনপি নেতা নাজমুল মোস্তফা আমিনের বক্তব্য অনুযায়ী, রাজনৈতিক দায়বদ্ধতা থেকেই তিনি পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করেছেন। তবে টোলপ্লাজার সমস্যাটি সমাধানে প্রশাসনিক উদ্যোগ প্রয়োজন বলে স্থানীয় বাসিন্দারা মত প্রকাশ করেছেন।