নিজস্ব প্রতিবেদক:
চাঁদাবাজ ও সন্ত্রাসীচক্রের বিরুদ্ধে শুক্রবার (১০ জানুয়ারি) সকালে ধর্মঘটে নেমেছিল কক্সবাজার শহরের চাউল বাজারের ব্যবসায়ীরা। সকাল থেকে বেলা প্রায় ৩ টা পর্যন্ত দোকানপাট বন্ধ থাকে। এই সময়কালে অনেকে চাউল কিনতে গিয়ে ফেরত গেছে। ভোগান্তিতে পড়তে হয়েছে ক্রেতাদের। তবে ক্ষোভের দানা বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি। দ্রুত গতিতে মোকাবেলা করেছে প্রশাসন। চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেন। ঘটনাস্থলে পৌঁছেন পুলিশসহ বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার কর্মকর্তারা। আর্মি ক্যাম্প থেকেও ব্যবসায়ীদের ফোন করে ঘটনার বিষয়ে জানতে চান। এ সময় প্রশাসনের কাছে ঘটনার বিস্তারিত তুলে ধরেন ভুক্তভোগী ব্যবসায়ীরা।
এর আগে চাউল ব্যবসায়ীদের পক্ষ থেকে সদর মডেল থানায় লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়। যেখানে ফয়েজুল হক পান্না নামক একজনকে চাঁদাবাজ হিসেবে চিহ্নিত করেছে। তার বিরুদ্ধে সুস্পষ্ট অভিযোগ উল্লেখপূর্বক দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি দিয়েছেন ভুক্তভোগী ব্যবসায়ীরা। অভিযুক্ত ফয়েজুল হক পান্না মরহুম নুরুল হক কোম্পানির ছেলে।

ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী এইচ এম জসিম উদ্দীন, সমীর কান্তি দে, দিলীপ পাল, সেবক পাল, কাজল দে, চন্দন শর্মা, কৃষ্ণ পাল, মোহাম্মদ নুরুল আমিন অভিযোগ করেন, ২০১৪ নুরুল হক কোম্পানির মৃত্যুর পরে তার নাতি প্রণয় দোকান ভাড়া উত্তোলন করছিল। কারো ভাড়ার টাকা বকেয়া নাই। এরপর নানা অজুহাতে বিভিন্নভাবে চাঁদা দাবি করে আসছিল নুরুল হক কোম্পানির ছেলে ফয়েজুল হক পান্না। অকথ্য ভাষায় গালিগালাজও করতে থাকে ব্যবসায়ীদের। বিভিন্ন সময় দোকানপাটে ঢুকে অবৈধভাবে হাঙ্গামা, ভয় প্রদর্শনও করছিল। এসব নির্যাতনের পরও ব্যবসায়ীরা নিরবে সহ্য করে, অভিযোগে এসব বর্ণনা রয়েছে।

অভিযোগ থেকে জানা গেছে, গত ১ জানুয়ারি চাউল বাজারের আহমদ ম্যানশন ও রাবেয়া কুটির নামক মার্কেটে গিয়ে চাঁদা দাবি করেন ফয়েজুল হক পান্না। টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করলে অকথ্য ভাষায় গালমন্দ করে। দোকানে ঢুকে ভাঙচুর চালায়। এক পর্যায়ে পলাশ স্টোর এর মালিক কৃষ্ণ পালের দোকানে অনুপ্রবেশপূর্বক এলোপাতাড়ি মারধর করে। ঘটনার খবরে ছোট ভাই শিমুল পাল এগিয়ে গেলে তাকেও গলা চেপে ধরে। এসব ঘটনায় পুরো চাউল বাজারে ব্যবসায়ীদের মাঝে আতঙ্ক ও ক্ষোভ তৈরি হয়। অবশেষে বাধ্য হয়ে চাউল ব্যবসায়ীরা ধর্মঘটে নামে। অবশ্যই পরে নিত্য প্রয়োজনীয় আবশ্যকীয় পণ্য বিবেচনায় প্রশাসনের আশ্বাসে ধর্মঘট প্রত্যাহার করে নেয় ক্ষুব্ধ ব্যবসায়ীরা।
তবে চাঁদাবাজ ও সন্ত্রাসীচক্রের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা না নিলে আরো বৃহত্তর কর্মসূচি দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন চাউল বাজারের ব্যবসায়ীগণ।