নুরুল আলম সাঈদ, নাইক্ষ্যংছড়ি ;
বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার দুর্গম পাহাড়ি এলাকাগুলোতে শীতের তীব্রতা বেড়ে গেছে। ঘন কুয়াশা ও শৈত্যপ্রবাহে জনজীবন বিপর্যস্ত। বিশেষত, শিশুরা ও বৃদ্ধরা শীতজনিত রোগে বেশি আক্রান্ত হচ্ছে।
নাইক্ষ্যংছড়ির বিভিন্ন গ্রাম, যেমন সদর ইউনিয়নের স্কুল পাড়া, ধুংড়ী হেডম্যান পাড়া, দৌছড়ি ইউনিয়নের গুরান্নাকাটা, সোনাইছড়ির জুমখোলা, এবং বাইশারী ইউনিয়নের আলিক্ষ্যংসহ বিভিন্ন এলাকায় শীতের প্রভাব চরম।
পাহাড়ি শ্রমজীবী মানুষেরা শীতবস্ত্রের অভাবে কাজকর্ম চালিয়ে যেতে পারছে না। এ বিষয়ে চড়ই মুরুং পাড়ার নারী নেংলে মুরুং বলেন, “আমাদের পাড়ার সবাই গরিব। শীতবস্ত্র কেনার সামর্থ্য নেই। সরকার বা কোনো সংস্থা যদি সহায়তা করত, তাহলে ভালো হতো।”
শীতের প্রকোপ থেকে বাঁচতে পাহাড়ি জনগণ আগুন জ্বালিয়ে তাপ নিচ্ছে। ওখাইনু মারমা জানান, “এবার শীত বেশি পড়েছে, কিন্তু আমাদের কোনো খবর কেউ রাখে না।”
শীতজনিত কারণে ডায়রিয়া, সর্দি-কাশি, নিউমোনিয়ার মতো রোগ ছড়াচ্ছে। বিশেষত শিশু ও বৃদ্ধরা বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আবু জাফর মোহাম্মদ সেলিম বলেন, “আমরা যথাসাধ্য চিকিৎসা সেবা দিচ্ছি। তবে শীতবস্ত্রের অভাবে মানুষজন দুর্ভোগে পড়ছে।”
সহায়তার আহ্বান
সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান অধ্যাপক তোফাইল আহমদ বলেন, “পাহাড়ি এলাকার মানুষজন শীতের কষ্টে ভুগছে। শিশু ও বৃদ্ধদের জন্য শীতবস্ত্র বিতরণ এখন জরুরি।”
নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মুহাম্মদ মাজহারুল ইসলাম চৌধুরী জানান, “খুব শিগগিরই উপজেলার ৫ ইউনিয়নে শীতবস্ত্র ও কম্বল বিতরণ কার্যক্রম শুরু হবে।”
সচেতন মহল ও স্থানীয় বাসিন্দারা বিত্তবান ও এনজিওদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন। শীতার্ত মানুষদের পাশে দাঁড়ানোর জন্য সবাইকে সহায়তার হাত বাড়ানোর অনুরোধ জানিয়েছেন তারা।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।