সুশান্ত কান্তি তঞ্চঙ্গ্যাঁ, আলীকদম;

বান্দরবানের আলীকদমে আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে বান্দরবান–৩০০ আসনে জামায়াতে ইসলামী মনোনীত প্রার্থী অ্যাডভোকেট মো. আবুল কালামের নির্বাচনী পথসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

উপজেলা জামায়াতের উদ্যোগে শনিবার (৬ ডিসেম্বর) আলীকদম বাজার, বাগানপাড়া, নয়াপাড়া, চিনারী বাজার ও রেপারপাড়ি বাজারে এসব পথসভা হয়। এর আগে দুপুরে উপজেলার নায়পাড়া ইউনিয়নের রূপমুহুরী রিসোর্টে জামায়াতের মহিলা সমাবেশেও তিনি বক্তব্য রাখেন।

আলীকদম বাজারে পথসভায় সংসদ সদস্য প্রার্থী অ্যাডভোকেট আবুল কালাম বলেন, আগামী নির্বাচনের মাধ্যমে একটি ইসলামী সাম্যের রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠিত হবে।

তিনি দাবি করেন, অনেকের মনে জামায়াত রাষ্ট্রক্ষমতায় যেতে পারবে কি না—এ নিয়ে সংশয় থাকলেও একটি আন্তর্জাতিক জরিপে দেখা গেছে, জামায়াত ২৯% জনসমর্থন নিয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে। আর যে দল নিজেদের রাষ্ট্রক্ষমতায় দেখার স্বপ্ন দেখছে, তাদের অবস্থান ৩৩%। জামায়াতের সঙ্গে জোটবদ্ধ ৮টি ইসলামী দলের যৌথ সমর্থন নিয়ে এই শতাংশ ৪০–এ পৌঁছাবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।

তিনি ঘুষ, দুর্নীতি, সন্ত্রাস ও চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান।

অ্যাডভোকেট আবুল কালাম বলেন, আগামী জাতীয় নির্বাচন অবাধ ও নিরপেক্ষ হবে বলে আমরা বিশ্বাস করি। কেউ যদি কেন্দ্র দখল, সন্ত্রাস বা ভীতি প্রদর্শনের চেষ্টা করে—জনগণই তা প্রতিরোধ করবে।”

নিজের সততা নিয়ে তিনি চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়ে বলেন, আমি ৪০ বছর ধরে আইন পেশায় আছি। আমার বিরুদ্ধে যদি কোনো অভিযোগের প্রমাণ থাকে, তবে আমি নির্বাচন করব না।”
তিনি ভোটারদের সৎ ও যোগ্য প্রার্থী বাছাই করার আহ্বান জানান।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন জেলা জামায়াতের আমীর ও লেখক মাওলানা এস.এম. আব্দুস সালাম। তিনি বলেন, স্বাধীনতার পর ৫৩ বছরে যারা রাষ্ট্রক্ষমতায় ছিলেন, তারা জনগণের ভাগ্য পরিবর্তন করতে পারেননি। জামায়াতের অতীত কর্মকাণ্ড উল্লেখ করে তিনি দাবি করেন, ক্ষমতায় থাকা জামায়াতের কোনো নেতার বিরুদ্ধে কখনো দুর্নীতির প্রমাণ পাওয়া যায়নি।

তিনি উদাহরণ দিয়ে বলেন, ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ জামায়াত প্রতিষ্ঠা করেছে—যেখানে সকল জাতি ও সম্প্রদায়ের মানুষ লেনদেন করেন। ঠিক তেমনি রাষ্ট্রক্ষমতায় গেলে জামায়াতও সকল মানুষের কল্যাণে কাজ করবে।

আলীকদম উপজেলা জামায়াত সভাপতি মাওলানা মাশুক এলাহীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত পথসভায় আরও বক্তব্য দেন অধ্যাপক মো. ফারুক, মাওলানা আব্দুল হক ও মাওলানা আবুজর গিফফারি।