সংবাদ বিজ্ঞপ্তি:
কক্সবাজার সদর উপজেলার হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ও সংখ্যালঘুদের ঐক্য পরিষদের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিবর্গের সাথে ৯ইবি আর্মি ক্যাম্পে সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

১১ আগস্ট বিকালে অনুষ্ঠিত সভায় নিম্নবর্ণিত বিষয়সমূহ আলোচনা করা হয়:

১। অধিনায়ক ৯ইবি সকলের জ্ঞাতার্থে বলেন, ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে আমরা সকলে বাংলাদেশী এবং এটি আমাদের সবচেয়ে বড় পরিচয়।

২। দেশের অরাজক পরিস্থিতির শুরু থেকেই সেনাবাহিনী সকলের পাশে থাকায় সকলে বাহিনীর প্রশংসা করেন এবং ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন। একই সাথে সবাই আশা ব্যক্ত করেন ভবিষ্যতে সেনাবাহিনী ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে সকলকে সমানভাবে সহযোগিতা করে যাবে।

৩। আগামী ১৭ আগস্ট মনসা পূজা এবং ২৬ আগস্ট জন্মাষ্টমী উপলক্ষে পূজা উদযাপনের ব্যাপারে সেনাবাহিনীর সহযোগিতা কামনা করেছেন। অধিনায়ক সকলকে আশ্বস্ত করেন যে এ সময় সেনাবাহিনীর টহল আরো বৃদ্ধি করা হবে।

৪। সকল ধর্মাবলম্বীদের উপস্থিত সকলকে নিয়ে কমিউনিটি পুলিশ গঠন সাপেক্ষে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করার জন্য আলোচনা করা হয়েছে। সকলকে নিজ নিজ এলাকায় এই কমিউনিটি পুলিশ গঠন সাপেক্ষে নিজেদের এবং এলাকার নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য আহ্বান করা হয়।

৫। অধিনায়ক ৯ইবি বলেন, কক্সবাজার সদরের সংখ্যালঘু মানুষদের আন্দোলনকে যাতে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে কিছু গোষ্ঠী নস্যাৎ করে অশান্তিপূর্ণ আন্দোলনে পরিণত না করে তার জন্য সেনাবাহিনীর টহল দল সোচ্চার থাকবে।

৬। সকলে আরো আবেদন জানান যে, বিভিন্ন ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় সেনাবাহিনীর টহল বৃদ্ধি করলে দুষ্কৃতিকারীরা সহজে সংখ্যালঘুদের ওপর আক্রমণ করতে পারবে না। এ বিষয়ে অধিনায়ক সকলকে জানান, ইতোমধ্যে সেনাবাহিনীর অনেকগুলো টহল সমগ্র কক্সবাজার এলাকায় ২৪ ঘন্টা গমনাগমন করে।

৭। সকলকে বিভিন্ন মন্দির, গির্জা, প্যাগোডায় সিসিটিভি ক্যামেরার পরিমাণ বৃদ্ধি করতে বলা হয় এবং সিসিটিভি না থাকলে তা লাগানোর ব্যবস্থা করার জন্য অনুরোধ করা হয়।

৮। অধিনায়ক সকলকে পুনরায় নিজেদের মত ভয়ভীতিহীনভাবে মন্দির গির্জা এবং প্যাগোডায় যাওয়ার অনুরোধ করেন।

৯। সমন্বয় সভায় সকলকে গুজব পরিহার করে সত্যকে তুলে ধরার জন্য অনুরোধ করা হয়।

সমন্বয় সভায় উপস্থিত সদস্যদের নামীয় তালিকা নিম্নরূপ:
১। বিএ- ৭৪৭০ লেফটেন্যান্ট কর্নেল তানভীর আহমেদ পিএসসি, ৯ ই বেংগল।
২। বিএ-৯৩৮১ মেজর শাহরিয়ার হোসেন খান আরিফ, ৯ইবি।
৩। বিএ-১১১৬৯ ক্যাপ্টেন মোহাম্মদ তানভীর চৌধুরী, ৯ ই বেংগল।
৪। আতাউল গনি ওসমানী, এডিএম কক্সবাজার।
৫।ডক্টর চন্দনকান্তী দাস, সভাপতি হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ কক্সবাজার,
৬। মা অহন তিন, রাখাইন সম্প্রদায়সহকারী প্রধান শিক্ষক কক্সবাজার মডেল হাই স্কুল
৭। রতন দাস, সহ-সভাপতি, জেলা পূজা উদযাপন পরিষদ,
৮। রবীন্দ্র বিজয় বড়ুয়া, সভাপতি বাংলাদেশ বৌদ্ধ ১৬ উপজেলা সমিতি কক্সবাজার জেলা,
৯। বাবুল বড়ুয়া, নির্বাহী সভাপতি বাংলাদেশ বুড্ডিস্ট ফেডারেশন কক্সবাজার জেলা,
১০। আলুতোকপাল, সেক্রেটারি ইসকন কক্সবাজার শ্রী শ্রী রাধা দামোদর মন্দির ঘনার পাড়া কক্সবাজার,
১১। নিদিপ কান্তি দে, সদস্য ইসকন কক্সবাজার, শ্রী শ্রী রাধা দামোদর মন্দির ঘোনারপাড়া কক্সবাজার,
১২। বিনয় কস্তা, প্রতিনিধি সাধু জোসেফের গির্জা কক্সবাজার হোটেল,
১৩। উদয় শংকর পাল মিঠু, সভাপতি জেলা পূজা উদযাপন পরিষদ কক্সবাজার,
১৪। বেন্টু দাস, সাধারণ সম্পাদক কক্সবাজার জেলা পূজা উদযাপন পরিষদ,
১৫। এডভোকেট দীপঙ্কর বড়ুয়া পিন্টু, সভাপতি বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ কক্সবাজার জেলা,
১৬। জনি ধর, সাধারণ সম্পাদক পৌর পূজা কমিটি,
১৭। দীপক শর্মা দিপু, সহ-সভাপতি জেলা পূজা উদযাপন পরিষদ,
১৮। বলরাম দাস অনুপম, সাধারণ সম্পাদক সদর উপজেলা পূজা কমিটি,
১৯। এডভোকেট বাপ্পিশর্মা, সভাপতি সদর উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদ কক্সবাজার সদর,
২০। রাজ বিহারী দাস , কাউন্সিলর ৮ নং ওয়ার্ড কক্সবাজার পৌরসভা কক্সবাজার,
২১। সুশান্ত নাথ, গীর্জা দেখাশোনার দায়িত্ব ঘোনার পাড়া কক্সবাজার,
২২। স্বপন বড়ুয়া, সভাপতি কক্সবাজার কেন্দ্রীয় ধর্মান্তর বৌদ্ধবিহার সেবা ও কমিটি

সভায় উপস্থিত সকলেই প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হয়ে সম্মতি জ্ঞাপন করেছেন, সেনাবাহিনীকে যেকোনো অবস্থাতে বিভিন্ন তথ্য দিয়ে সহযোগিতা প্রদান করবেন এবং সেনাবাহিনী যে কোন বিচ্ছিন্ন ঘটনার তথ্য পাওয়ার সাথে সাথে তদন্ত সাপেক্ষে কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।