প্রেস বিজ্ঞপ্তি:

রামু ব্যাটালিয়ন (৩০ বিজিবি) এর “৪২তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী” পালন। রামু ব্যাটালিয়ন (৩০ বিজিবি) ১৯৮১ সালের ২১ আগস্ট পিলখানা, ঢাকায় প্রতিষ্ঠা লাভ করে কিন্তু পরবর্তীতে আগস্ট মাসেই বাঙালি জাতির ইতিহাসে কতিপয় দুঃখজনক ও অনাকাঙ্খিত দূর্ঘটনা সংগঠিত হয়।

গত ১৫ই আগস্ট জাতীয় শোক দিবস এবং ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার মত ন্যাক্কারজনক ঘটনার মাধ্যমে অনেক নিরপরাধ মানুষকে হত্যা করা হয়, যার ফলে আগস্ট মাসটি শোকের মাস হিসেবে পালন করা হয়। তাই ২১ আগস্ট ২০২৩ তারিখে প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী আড়ম্বরপূর্ণভাবে পালন না করে শুধুমাত্র মিলাদ মাহফিল ও দোয়া, দরবার এবং পতাকা উত্তোলন করা হয়।

২৬শে সেপ্টেম্বর আয়োজিত প্রীতিভোজে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কক্সবাজার রিজিয়ন ভারপ্রাপ্ত পিএসসি কর্নেল মোঃ জিল্লাল হোসেন, এবং কর্নেল মোঃ মেহেদি হোসাইন কবির, বিএসপি, এসইউপি, বিজিবিএম, পিএসসি, এলএসসি, সেক্টর কমান্ডার, রামু সেক্টর উক্ত প্রীতিভোজে অংশগ্রহন করেন। এছাড়াও কক্সবাজার রিজিয়ন, আরআইবি ও বিএসবি, কক্সবাজার ও রামু সেক্টর এবং রামু সেক্টরের অধীনস্থ ব্যাটালিয়ন সমূহের অধিনায়কসহ অন্যান্য কর্মকর্তাগণ এবং বেসামরিক সংস্থার কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।

রামু ব্যাটালিয়ন (৩০ বিজিবি) এর অধিনায়ক লেঃ কর্নেল ওয়াহিদুজ্জামান তানজিদ আগত অতিথিদের স্বাগত জানান এবং ব্যাটালিয়নের বিভিন্ন কার্যক্রম সম্পর্কে সকল অতিথির জ্ঞাতার্থে সকলের মাঝে তুলে ধরেন। ঐতিহ্যবাহী, গৌরবমন্ডিত এবং সুশৃঙ্খল এই বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ এর রামু ব্যাটালিয়ন (৩০ বিজিবি) এর আজকের এই আনন্দঘন মূহুর্তে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ এর রুপকার জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে ইউনিটের সকল পর্যায়ের সদস্যগণ গভীর শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করা হয়। এছাড়াও সেই সকল কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের যাদের বলিষ্ঠ নেতৃত্বে ও নিরলস পরিশ্রমের ফলে এই ব্যাটালিয়ন আজ বিশেষ সম্মানের আসনে অধিষ্ঠিত হয়েছে।

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ২০১২ সালে রামু উপজেলা পরিদর্শন কালে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ও সৌহার্দ্য উন্নয়নে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের বীরত্ব ও গৌরব উজ্জ্বল ভূমিকায় প্রশংসিত হয়ে একটি বর্ডার গার্ড ব্যাটালিয়ন স্থাপনের সিদ্ধান্তের প্রেক্ষিতে ২০১৩ সালের ১৯ মে রামু সেক্টরের অধীনে রামু উপজেলায় ৫০ বর্ডার গার্ড ব্যাটালিয়ন আত্মপ্রকাশ করে এবং গত ২১ মার্চ ২০১৮ তারিখ হতে রামু ব্যাটালিয়ন (৩০ বিজিবি), রামুতে অবস্থান করছে।

দেশপ্রেম, পেশাদারিত্ব, কর্তব্যনিষ্ঠা এবং দক্ষতার মাধ্যমে রামু এলাকায় সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষার পাশাপাশি বাংলাদেশ-মায়ানমার এর দূর্গম অরক্ষিত সীমান্তে সম্পূর্ণ নতুন ০৩টি বিওপি স্থাপনসহ বর্তমানে ০৫টি বিওপি এবং ০২ টি যৌথ চেকপোষ্ট ও ০১টি বিশেষ ক্যাম্প দ্বারা দায়িত্ব পালন করে আসছে। এ ব্যাটালিয়নের প্রতিটি সদস্য “সীমান্তের অতন্দ্র প্রহরী” হিসেবে অবৈধ অনুপ্রবেশ রোধ, মাদক চোরাচালান নিরোধ, জানমালের নিরাপত্তা, সর্বোপরি দেশের শান্তি, শৃঙ্খলা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পেরে গর্বিত। এরই ধারাবাহিকতায় রামু ব্যাটালিয়ন (৩০ বিজিবি) বর্তমান অবস্থানে আসার পর অপারেশনাল কার্যক্রমের পাশাপাশি সীমান্ত অপরাধ দমন, সীমান্ত অতিক্রম প্রতিরোধ এবং চোরাচালান বিরোধী অভিযানে গত ২২ আগস্ট ২০২২ হতে ২১ আগস্ট ২০২৩ পর্যন্ত ০১ বছরে প্রায় ১২১,০০,০০,০০০/-(একশত একুশ কোটি) টাকা মূল্যের বিভিন্ন প্রকার চোরাচালানী মালামাল ও মাদকদ্রব্য আটক করতে সক্ষম হয়েছে।

সর্বোপরি প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর এ গৌরবোজ্জল দিনে রামু ব্যাটালিয়নের সকল স্তরের সদস্যগণ আজকের এই দিনে অঙ্গীকারবদ্ধ হয়ে সকলের দোয়া ও সহযোগিতার মাধ্যমে মাতৃভূমির স্বার্থ রক্ষায় যে কোন ধরনের কঠিন দায়িত্ব পালনে সর্বদা সচেষ্ট থাকা।