রামু প্রতিনিধি:
রামু উপজেলার রশিদনগরে জমি নিয়ে বিরোধের জের ধরে দুই সহোদরকে কুপিয়েছে ভূমিগ্রাসী চক্র। গুরুতর আহত অবস্থায় তাদের কক্সবাজার সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আহতরা হলেন- রশিদনগর ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ডের উত্তর কাহাতিয়া পাড়ার মনজুর মোর্শেদের ছেলে আওয়ামী লীগ নেতা মোয়াজ্জম মোর্শেদ (৩১) ও রায়হানুল মোর্শেদ (২৯)।
শুক্রবার, ২২ সেপ্টেম্বর উত্তর কাহাতিয়া পাড়ায় এ হামলার ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় রবিবার রামু থানায় লিখিত এজাহার দিয়েছেন- হামলার শিকার মোয়াজ্জম মোর্শেদ ও রায়হানুল মোর্শেদের পিতা মনজুর মোর্শেদ। এতে অভিযুক্তরা হলেন- আব্বাস আলীর ছেলে লোকমান হাকিম ও আবদুর রশিদ, লোকমান হাকিমের ছেলে শাহ আলম ও সালাহ উদ্দিন এবং আবদুর রশিদের ছেলে মো. জুনাইদুল ইসলাম। এছাড়া অজ্ঞাতনামা রয়েছেন ৮/৯ জন।
লিখিত এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে- জমি নিয়ে বিরোধের জের ধরে পরিকল্পিতভাবে এ হামলা চালানো হয়েছে। হামলাকারিদের বিরুদ্ধে বাদী মনজুর মোর্শেদ গত ২৯ আগস্ট বিজ্ঞ অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিট্রেট আদালত কক্সবাজারে এমআর মামলা (নং-১১৫৪/২০১১) করেন। উক্ত মামলায় বিজ্ঞ আদালতের ১৫নং আদেশ মূলে দখলীয় জমিতে বিবাদীদের প্রবেশে চূড়ান্ত ভাবে বারিত করা হয়। কিন্তু বিবাদীরা বিজ্ঞ আদালতের আদেশ অমান্য করে পাশর্^বর্তী মসজিদের বৈদ্যুতিক সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে রাতের আধারে জমি জবর দখলের চেষ্টা চালায়। শুক্রবা জুমার নামাজ শেষে মসজিদে বৈদ্যুতিক সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার প্রতিবাদ জানান মোয়াজ্জম মোর্শেদ। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে হামলাকারিরা জুমার নামাজ শেষে বাড়ি ফেরার পথে মোয়াজ্জম মোর্শেদ ও তার ছোট ভাই রায়হানুল মোর্শেদকে দা দিয়ে মাথায় এবং শরীরের বিভিন্নস্থানে কুপিয়ে আহত করে। এছাড়াও হামলাকারিরা দুই ভাইয়ের মুঠোফোনসহ সর্বস্ব লুট করে সটকে পড়ে।
স্থানীয়রা মূমূর্ষু অবস্থায় তাদের উদ্ধার করে প্রথমে রামু উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও পরে অবস্থার অবনতি হলে কর্তব্যরত চিকিৎসকের পরামর্শে ককক্সবাজার সদর হাসপাতালে ভর্তি করান।
এ ঘটনার পর থেকে হামলাকারিরা আবারও তাদের প্রাণনাশের চেষ্টা এবং মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে হয়রানির হুমকি দিচ্ছে। এ ঘটনায় মোয়াজ্জম মোর্শেদ ও তার পরিবার পরিজন চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন।
রামু থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবু তাহের দেওয়ান জানিয়েছেন- এ ঘটনায় লিখিত এজাহার পেয়েছেন। এ ব্যাপারে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।