আব্দুস সালাম টেকনাফ:

টেকনাফের সাবরাং সীমান্ত এলাকায় ১ লক্ষ ১০ হাজার পিস ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। এসময় তিনজন চোরাকারবারিকে আটক করা হয়।

আটককৃতরা হলেন- টেকনাফ উপজেলার সদর ইউনিয়নের ছোট হাবিবপাড়ার মৃত মোহাম্মদ হোসেনের ছেলে মোঃ তাজুল ইসলাম (৫৩), একই এলাকার সোনা আলীর ছেলে মোঃ সৈয়দ হোসেন (৩৫) এবং একই এলাকার মৃত জকুম বাহারের ছেলে মোঃ আবুল কাশেম (৪৫)।

টেকনাফ ২ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেঃ কর্নেল মোঃ মহিউদ্দীন আহমেদ গণমাধ্যমকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।

তিনি জানান, শুক্রবার (৮ সেপ্টেম্বর) রাতে গোপন তথ্যের ভিত্তিতে, টেকনাফ ২বিজিবি ব্যাটালিয়ন এর অধীনস্থ নাজিরপাড়া বিওপি’র দায়িত্বপূর্ণ বিআরএম-৫ হতে আনুমানিক ৪০০ গজ উত্তর-পশ্চিম দিকে আলুগোলা এলাকা দিয়ে ইয়াবার একটি বড় চালান মায়ানমার থেকে বাংলাদেশে পাচার হতে পারে। এমন তথ্যের ভিত্তিতে নাজিরপাড়া বিওপি’র একটি চোরাচালান প্রতিরোধ টহলদল উক্ত এলাকায় গমন করে কয়েকটি উপদলে বিভক্ত হয়ে বেড়ীবাঁধের আঁড় নিয়ে কৌশলগত অবস্থান গ্রহণ করে। কিছুক্ষণ পর পূর্ব থেকেই কৌশলগত অবস্থানে থাকা বিজিবি টহলদল ৫ জন ব্যক্তিকে ২টি প্লাস্টিকের ব্যাগ কাঁধে নিয়ে নাফনদী পার হয়ে সীমান্তের শূন্য লাইন থেকে আনুমানিক ১.৫ কিলোমিটার বাংলাদেশের অভ্যন্তরে আলুগোলা চোরাকাঠি এলাকায় আলি আহমেদের মাছের প্রজেক্টের দিকে আসতে দেখে। তাদের গতিবিধি সন্দেহজনক পরিলক্ষিত হওয়ায় টহলদল তাদেরকে চ্যালেঞ্জ করলে চোরাকারবারিরা তাদের কাঁধে থাকা ব্যাগগুলো ফেলে দৌড়ে পালিয়ে যাওয়ার সময় টহলদল তিনজন চোরাকারবারিকে আটক করতে সক্ষম হয় এবং অপর দুইজন চোরাকারবারি নাফনদীর পার্শ্বে ঘন কেওড়া বাগানের ভিতরে পালিয়ে যায়। পরবর্তীতে টহলদল তল্লাশি অভিযান পরিচালনা করে চোরাকারবারিদের ফেলে দেওয়া ২টি প্লাস্টিকের ব্যাগ উদ্ধার করে। উদ্ধারকৃত ব্যাগের ভিতর থেকে ১ লক্ষ ১০ হাজার পিস ইয়াবা ট্যাবলেট জব্দ করা হয়। পলাতক দুই চোরাকারবারিকে শনাক্ত করার জন্য অত্র ব্যাটালিয়নের গোয়েন্দা কার্যক্রম চলমান রয়েছে।

তিনি আরো জানান, আটককৃত ৩ জন আসামিকে জব্দকৃত ইয়াবা ট্যাবলেটসহ নিয়মিত মামলার মাধ্যমে টেকনাফ মডেল থানায় হস্তান্তর করার কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।