আব্দুস সালাম,টেকনাফ (কক্সবাজার) :
মিয়ানমার থেকে টেকনাফের নাফনদী দিয়ে অবৈধভাবে অনুপ্রবেশকালে শিশুসহ ১৮ জন রোহিঙ্গাকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ সময় মানব পাচারের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে ৫ দালালকে আটক করা হয়েছে।

গত শুক্রবার (২৬ মে) রাত সাড়ে ১১টার দিকে টেকনাফ পৌরসভার নাইট্যংপাড়ার আমিন শরীফের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাঁদের উদ্ধার করা হয়েছে।

টেকনাফ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবদুল হালিম গণমাধ্যামকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।

উদ্ধার হওয়া রোহিঙ্গাদের মধ্যে ৭জন শিশু, ৫ জন নারী ও ৬জন পুরুষ রয়েছেন। তাঁদের সবার বাড়ি মিয়ানমারের মংডু শহরের বিভিন্ন গ্রামে বলে জানা যায়।

আটক দালালরা সবাই টেকনাফের বাসিন্দা। তাঁরা হলেন—টেকনাফ সদর ইউনিয়নের বড়ইতলীর দ্বীন ইসলাম (২৫), একই এলাকার মোহাম্মদ ইউনুছ (২৬), পৌরসভার নাইট্যংপাড়ার মোহাম্মদ জাহিদ (৩০), মোহাম্মদ জামাল (৩৮) ও আমিন শরীফের স্ত্রী হাজেরা খাতুন (৫০)।

ওসি মো. আবদুল হালিম জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গত শুক্রবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে টেকনাফ পৌরসভার ১নং ওয়ার্ডের নাইট্যংপাড়ার বাসিন্দা আমিন শরীফের বাড়িতে অভিযান চালায় পুলিশ। এ সময় ১৮ জন মিয়ানমারের নাগরিককে উদ্ধার করা হয়। তাঁদের বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। সিদ্ধান্ত পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আপাতত তাঁদের পুলিশ হেফাজতে রাখা হয়েছে।

রোহিঙ্গা নাগরিকদের বরাত দিয়ে ওসি মো. আবদুল হালিম আরো জানান, মিয়ানমার থেকে তাঁরা চিকিৎসার জন্য নাফনদী দিয়ে নৌকায় করে অবৈধভাবে দালালের মাধ্যমে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করেছেন। এ জন্য দালালকে মাথাপিছু হিসাবে মোটা অংকের টাকা দিতে হয়েছে। দালালরা অন্যত্র নিয়ে যাওয়ার আগেই পুলিশের হাতে ধরা পড়েছেন তাঁরা।

এর আগে গত ৩ এপ্রিল রাত ১টার দিকে টেকনাফ উপজেলা সদর ইউনিয়নের নতুন পল্লানপাড়া পাহাড়ি গ্রামের মো. আরিফের একটি ঘর থেকে ১৫জন শিশু, ৭ জন নারীসহ ২২ জন রোহিঙ্গা নাগরিককে উদ্ধার করা হয়। তাঁরা সবাই উখিয়ার কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বাসিন্দা ছিলেন। তবে তাঁরা ২০১৭ সালের আগস্ট মাসে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্য থেকে পরিবার নিয়ে বাংলাদেশে পালিয়ে এসে আশ্রয় নিয়েছিলেন। পরে তাঁদের কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ফেরত পাঠানো হয়েছিল।