এম.মনছুর আলম, চকরিয়া :
কক্সবাজারের চকরিয়ায় এসআইসহ তিন পুলিশ সদস্যকে কুপিয়ে জখমের ঘটনায় ৪৮ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে।
হারবাং পুলিশ ফাঁড়ির এসআই অপু দে বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। তৎমধ্যে মামলার এজাহারনামীয় প্রধান আসামী মোহাম্মদ রাকিব (২০) কে একটি এলজি ও দুই রাউন্ড কার্তুজসহ গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
বুধবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে রাকিবকে তার নিজ বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃত রাকিব উপজেলার বরইতলী ইউনিয়নের পহরচাঁদা হাফালিয়াকাটা গ্রামের রশিদ আহমদের ছেলে।
এদিকে, এসআইসহ তিন পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় হারবাং পুলিশ ফাঁড়ির (এসআই) উপপরিদর্শক অপু দে বাদী হয়ে ৩০ জন নারী-পুরুষকে এজাহারনামীয় ও ১৮ জনকে অজ্ঞাত দেখিয়ে চকরিয়া থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। এই মামলায় এজাহারভুক্ত প্রধান আসামী রাকিবসহ এ পর্যন্ত ১৬জনকে গ্রেপ্তার করতে পুলিশ সক্ষম হয়েছে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে ধৃত আসামীকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন চকরিয়া থানার ওসি চন্দন কুমার চক্রবর্তী।

জানাগেছে, চকরিয়ায় থানার আওতাধীন হারবাং পুলিশ ফাঁড়ির এসআই শামিম আল মামুনের নেতৃত্বে তিন পুলিশ সদস্য নিয়ে মঙ্গলবার রাতে নিয়মিত টহলের অংশ বিশেষ সিএনজি গাড়ি যোগে বের হয়ে বরইতলী-মগনামা সড়কের দিকে যায়। ওইসময় সড়কের হাফালিয়াকাটা এলাকায় পৌঁছলে ওই এলাকার রশিদ আহমদের ছেলে রাকিব (২০) নামে এক যুবককে ছুরি হাতে দেখতে পায় পুলিশ। পুলিশ গাড়ি থামিয়ে যুবক রাকিবকে ছুরি হাতে সড়কে কি করছো এমন কথা জিজ্ঞেস করার সাথে সাথে সে দৌঁড়ে বাড়িতে চলে যায়। এসময় পুলিশও তার পেছনে পেছনে দৌঁড়াতে থাকে। এক পর্যায়ে রাকিব চিৎকার করে বলতে থাকে তাকে পুলিশে ধরে নিয়ে যাচ্ছে। এধরণের খবর পেয়ে বাড়ির ও আশপাশের লোকজন দা-ছুরি, লোহার রড় নিয়ে জড়ো হয়ে পুলিশের উপর অতর্কিত হামলা চালায়। এসময় পুলিশের কাছ থেকে একটি শর্টগান কেড়ে নেয়া হয়। পরে থানা পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌছে আহত তিন পুলিশ সদস্যকে উদ্ধার করে। পুলিশ সদস্যদের উদ্ধার করে প্রথমে চকরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসা হয়। এসময় কর্তব্যরত চিকিৎসক আহতদের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাদের চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেছেন। বর্তমানে তিন পুলিশ সদস্য চমেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। হামলার এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে ৪৮ জনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের করেছে।

চকরিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) চন্দন কুমার চক্রবর্তী বলেন, পুলিশের ওপর হামলার ঘটনার পর থেকে প্রধান আসামী রাকিব পলাতক ছিল। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান পরিচালনা করে বুধবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে রাকিব সিএনজি যোগে বাড়ি ফিরলে এসময় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। আসামী রাকিবের দেয়া তথ্যমতে তার বাড়ি থেকে একটি দেশীয় তৈরী এলজি ও দুই রাউন্ড তাজা কার্তুজ উদ্ধার করা হয়।
ওসি আরো বলেন, রাকিব তার বাড়িতে রাখা অবৈধ অস্ত্র সরিয়ে নিতে বাড়ি ফেরে বলে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছেন। পুলিশের উপর হামলার ঘটনায় একটি ও অস্ত্র আইনে আরো একটি মামলা হয়েছে বলে তিনি জানান।