আব্দুস সালাম,টেকনাফ (কক্সবাজার)
মায়ানমারের শরণার্থী প্রত্যাবাসন প্রতিনিধিদলের সদস্য বাংলাদেশ সফর ও শরণার্থীদের সাথে সাক্ষাৎকার গ্রহণ করতে দুই দেশের মধ্যে বৈঠক চলছে।
বুধবার (১৫ মার্চ) সাড়ে ৯ টার দিকে টেকনাফ ২বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধীনস্থ টেকনাফ বিওপির দায়িত্বপূর্ণ এলাকা জেটিঘাটে মায়ানমারের শরণার্থী প্রত্যাবাসন দলের সদস্যরা বাংলাদেশ সফর/ শরণার্থীদের সাথে সাক্ষাৎ করার নিমিত্তে মায়ানমারের ৫ পাম্প চালিত সাক্ষাৎ বোট যোগে জেটিঘাটে আগমন করেন। সৌজন্য সাক্ষাৎ শেষে শরণার্থীদের সাথে সাক্ষাৎ করা নিমিত্তে টেকনাফ স্থলবন্দরে গমন করেন। শরণার্থীদের সাথে সাক্ষাৎ শেষে স্থলবন্দরের নাফ রেস্টহাউজে অবস্থান করবেন। উক্ত সফরের সিনিয়র অং মায়ো (Aung Myoe) এর সাথে ২২ জন প্রতিনিধি দলের মধ্যে থেকে ৫ জন মায়ানমারে ফেরত চলে গেছেন ১৭ জন বর্তমানে স্থলবন্দরে অবস্থান করছেন। আগামী ২১ মার্চ পর্যন্ত মায়ানমারের প্রতনিধি দলটি অবস্থান করবেন বলে জানা যায়।
এ ব্যাপারে শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মোহাম্মদ মিজানুর রহমান জানান, এটি দীর্ঘদিনের প্রক্রিয়া, বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে ৮ লাখ ৮৮ হাজার রোহিঙ্গাদের তালিকা মায়ানমারকে পাঠানো হয়েছিল। তারা এর মধ্যে ৬৮ হাজারকে যাচাই-বাছাই করে। পরে ওই ৬৮ হাজার থেকে ১১শ জনকে নিয়ে একটি পাইলট প্রকল্প গ্রহণ করে। ওই পাইলট প্রকল্প থেকে ৪২৯ জনকে বাদ দিয়েছে। তিনি আরও বলেন, প্রতিদিন ৭০ জন রোহিঙ্গার সাক্ষাৎকার নেওয়া হবে।
২৪ নম্বর লেদার ক্যাম্পের নেতা মো. আলম জানান, মায়ানমারের টিম আমাদের সাথে কথা বলতে আসছে এটা শুনে আমরা খুশি। তবে আমরা আমাদের অধিকার ও নির্যাতনের বিচার চাইতে এ দেশে অবস্থান করছি। সে বিচার যেন সঠিকভাবে হয়।
হ্নীলা ইউপি চেয়ারম্যান রাশেদ মাহমুদ আলী জানান, আমি আসলে আশাবাদী মায়ানমার যদি আন্তরিক হয় অবশ্যই রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন হবে।