শাহেদুল ইসলাম মনির, কুতুবদিয়া প্রতিনিধি:

কক্সবাজারের কুতুবদিয়ায় উত্তর ধূরুং ধান ক্ষেত্রে পড়েছিল পেটান নামে এক ব্যক্তির লাশ। স্থানীয়দের ফোন পেয়ে লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। কারা কীভাবে তাকে খুন করে ফেলে রেখে যায়- কোনো সূত্রই ছিল না পুলিশের হাতে। ঠিক এমনই একটি ক্লুলেস মামলার রহস্য উদঘাটন করেছে কুতুবদিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মিজানুর রহমান ।

সোমবার (৯ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় কুতুবদিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ এ তথ্য জানিয়েছেন।

তিনি জানান, ২০২০ সালের ২০ অক্টোবর অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় নিহতের চাচা নাজের হোছাইন বাদী হয়ে থানায়
একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করেন। দীর্ঘ ২ বছর ২ মাস পর এ চাঞ্চল্যকর ক্লুলেস হত্যা মামলার রহস্য উদঘাটন হয়েছে। পরকীয়া প্রেমে জড়িয়ে স্বামীকে হাত-পা বেঁধে হত্যা করেন স্ত্রী দিলজাহান (৩৯)। আর তার এ কাজে সহযোগী ছিলেন তার প্রেমিক। প্রেমিকের সাথে পরকীয়া প্রেমে জড়িয়ে এমন ভয়ানক কাজ করার পর স্বামীর লাশ ধান ক্ষেত্রে ফেলে দেন প্রেমিকসহ ওই নারী। এ মামলার প্রধান আসামি স্ত্রী দিলজাহানকে চট্টগ্রাম ইপিজেড থানার আকমল আলী পকেট গেইট এলাকা ভাড়া-বাসা থেকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।

পুলিশ জানায়, ঘটনা বিশ্লেষণ ও ডিজিটাল তথ্য প্রযুক্তির মাধমে ঊর্ধ্বতন পুলিশের বেশ কয়েকজন কর্মকর্তার সহযোগিতায় অভিযান চালিয়ে রবিবার দিবাগত (৮ জানুয়ারি) রাত ১টার দিকে কুতুবদিয়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) নাছির উদ্দীনের নেতৃত্বে সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে চট্টগ্রাম ইপিজেড থানার আকমল আলী পকেট গেটস্থ ভাড়া বাসা থেকে স্বামী হত্যার মূল আসামি স্ত্রী দিলজাহানকে (৩৯) গ্রেফতার করা হয়। দিল জাহান আদালতে ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন এবং মূল পরিকল্পনাকারী ও হত্যাকারী তার প্রেমিকের নাম উল্লেখ করেন।
এছাড়া আরও বলেন, তার পরকীয়া আছে সেটা স্বামী জানতে পারেন। এজন্য তাকে মারধর ও বকাঝকা করেন। এটা তার প্রেমিকে বললে ঘটনা দিন দিলজাহানসহ তার প্রেমিক মিলে স্বামী ইউনুস প্রকাশ পেটানকে ঘুমন্ত অবস্থায় হাত-পা বেঁধে ব্লেড দিয়ে পুরুষাঙ্গ কেটে ফেলে হত্যা করেন। পরে, স্বামীর লাশ ধান ক্ষেত্রে ফেলে দেন।