হাছান মাহমুদ সুজন, কুতুবদিয়া:

সাফল্য-ব্যর্থতা, আনন্দ কিংবা বেদনায় নানা স্মৃতি বিজড়িত ঘটনাবহুল আরো একটি বছর অতিবাহিত করেছেন জেলার উপকূলীয় দ্বীপ কুতুবদিয়াবাসী।

২০২২-এ দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, কুতুবদিয়া-মগনামা ঘাট পারাপারে ফেরির দাবী, গভীর বঙ্গোপসাগরে মাছ ধরার ট্রলার ডুবি, জাতীয় গ্রিডে শতভাগ বিদ্যুতায়নের চলমান কাজ, অনাবৃষ্টি, ঘূর্ণিঝড় সিত্রায়ের তাণ্ডব, বেড়িবাঁধ ভাঙ্গন, ভাঙ্গাচোরা গ্রামীণ সড়কে জনদূর্ভোগ, দেশের সর্ববৃহৎ মানব পতাকা প্রদর্শন, র্যাবের অভিযান, বজ্রপাতে নিহত, পানিতে ডুবির ঘটনা, আত্মহত্যা চেষ্টা, গৃহবধুর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার, প্রাথমিকে প্রধান শিক্ষক কতৃক ছাত্রীকে ধর্ষণ চেষ্টা ও একাধিক অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাসহ নানা সুসংবাদ ও দুঃসংবাদসমূহ দ্বীপবাসীর কাছে চির সাক্ষী হয়ে থাকবে।

তবে এর মধ্যে উপজেলার সদর বড়ঘোপ ইউনিয়নের অমজাখালী আল-আমিন মার্কেটে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাটি শুধু জেলায় নয়,সমগ্র দেশবাসীকে নাড়া দিয়েছে।

তাছাড়া র‌্যাবের অভিযানে বিপুল পরিমাণ জাল টাকাসহ-জাল টাকা তৈরির মেশিন বা সরঞ্জাম উদ্ধার ও জলদস্যু আটকের ঘটনা যেমন দ্বীপজুড়ে আলোচিত ঠিক তেমনি স্থানীয় ন্যাশনাল ডায়াগনস্টিক এন্ড হেলথ সেন্টার থেকে সুস্থ শিশুকে টাইফয়েড় হয়ছে মর্মে একটি মনগড়া টাইফয়েড রোগের রিপোর্ট প্রদানের অভিযোগটিও সম্প্রতি নানা আলোচনা-সমালোচনায়।

এক কথায় বছরজুড়ে ঘটে যাওয়া আলোচিত কিছু ঘটনার ইস্যু নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ কুতুবদিয়ায় একের পর এক চলছে কখনো নানা কটুক্তিমূলক মন্তব্য আবার কখনো চলছে প্রশংসা ও দুর্নাম। তবে কালের গর্ভে বা ঘটনার ঘনঘটায় একটির আড়ালে চলে গেছে অন্যটি।

আজ যেহেতু ইংরেজি বর্ষ-২২ বিদায় নিচ্ছে! তাই পূনরায় জেনে নিই কুতুবদিয়ায় ঘটে যাওয়া পুরো বছরের কয়েকটি আলোচিত ঘটনা।

১৪ লাখ টাকায় ‘লাল পোয়া মাছ’ বিক্রি:
মোঃ মিজান ও ছৈয়দ নুর। দু’জনই দ্বীপ উপজেলা কুতুবদিয়া উত্তর ধূরুং ইউনিয়নের আকবর বলী পাড়া এলাকার বাসিন্দা এবং পেশায় ফিশিং ব্যবসায়ী। গত বৃহস্পতিবার (১০-ফেব্রুয়ারী) শেষ প্রহরে দ্বীপের সর্ব উত্তরে বেড়িবাঁধ থেকে আনুমানিক পাঁচশত গজ দুরে বালুর ড়েইল নামক স্থানে তাদের মালিকানাধীন দু’টি ছোট ফিশিং ট্রলারে মাঝারি আকারের প্রায় ১১৬ টি ‘লাল পোয়া মাছ’ আটকা পড়ে।

এর পর দিন প্রায় ৪৬ মণ ওজনের মাঝারি আকারের ওই লাল পোয়া মাছগুলো বিক্রি হয়েছে ১৪ লক্ষ ৩০ হাজার টাকায়। লাল পোয়া মাছের বায়ুথলি দিয়ে বিভিন্ন চিকিৎসাজনিত কাজে ব্যবহারের জন্য সার্জিক্যাল মেড়িসিন বা সুতা তৈরি করা হয়। তাই ওই মাছের দাম বেশি বলে মন্তব্য করেন মৎস্য বিশেষজ্ঞরা।

দেশের সর্ববৃহৎ মানব পতাকা প্রদর্শন:
দ্বীপের স্বনামধন্য উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ধূরুং আদর্শ পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় এন্ড কলেজ। গত ২৬-মার্চ মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদযাপন উপলক্ষে ঐতিহাসিক ধূরুং স্টেডিয়ামে ওই শিক্ষা প্রতিষ্টানে অধ্যয়নরত ১৭’শ শিক্ষার্থীর অংশ গ্রহণে দেশের সর্ববৃহৎ মনুষ্য তৈরি জাতীয় পতাকা প্রদর্শিত হয়েছে।

সদ্য বদলী হওয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোঃ নুরের জামান চৌধূরীর প্রধান অতিথিত্বে বিশাল ওই মানব পতাকার প্রদর্শনটি উদ্বোধন করা হয়। সাড়ে ১৩ হাজার বর্গফুট লাল-সবুজ বর্ণের এই মানব পতাকার দৈর্ঘ্য ছিল ১৫০ ফুট ও প্রস্থ ৯০ ফুট।

ধূরুং আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ মোর্শেদুল আলম বলেন ও ক্রীড়া শিক্ষক সমির শীল বলেন, স্বাধীনতা দিবস উদযাপন উপলক্ষে ১৭’শ জন শিক্ষার্থী নিয়ে মানব পতাকা প্রদর্শনী সফল করার জন্য দীর্ঘ এক সপ্তাহ ধরে প্রস্তুতি নিয়েছিল।এটি একক প্রতিষ্টান ভিত্তিক দেশের প্রথম ও সর্ববৃহৎ মানব পতাকা বলে দাবি করেন তারা।

মানব তৈরি ওই জাতীয় পতাকার প্রদর্শনী দেখতে স্থানীয় দর্শনার্থী সহ দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আগত বিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের সমাগম ঘটেছিল। ওই মানব পতাকা শুধু কক্সবাজারের ইতিহাসে নয়, একক প্রতিষ্টান ভিত্তিক ছাত্র-ছাত্রীদের নিয়ে দেশের সর্ববৃহৎ মানব তৈরি জাতীয় পতাকা বলে দাবী করছেন আয়োজকরা।

র‍্যাবের অভিযান; দফায় দফায় আটক-৯:
গত রবিবার (২৭-মার্চ) দুপুর ২টার দিকে উপকূলীয় দ্বীপ কুতুবদিয়ায় উপজেলা গেইটস্থ রাবেয়া এন্টারপ্রাইজ নামক একটি কম্পিউটারের দোকানে অভিযান পরিচালনা করে বিপুল পরিমাণ জাল টাকা ও জাল টাকা তৈরির মেশিন/সরঞ্জাম উদ্ধারসহ ৪ জনকে আটক করেছে র‍্যাব-৭। জাল টাকা তৈরির সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট ধারায় একটি মামলাও রুজু হয়েছে।

এছাড়া গত মঙ্গলবার (২৬ এপ্রিল) দুপুর সাড়ে ১২ টায় উপজেলার আলী আকবর ডেইল ইউনিয়নের তাবলেরচর এলাকার বেড়িবাঁধের বাইরে হাঁসের ঘোনা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে কুতুবদিয়া উপকূলের শীর্ষ ডাকাত রবি উল্লাহ ওরফে রবি ডাকাতকে ৪ সহযোগীসহ গ্রেপ্তার করেছেন র্যাব-৭।

ও সময় তাদের কাছ থেকে একটি ওয়ান শুটারগান, পাঁচটি এলজি বন্দুক, একটি একনলা বন্দুক, দু্ইটি কিরিচ এবং ১৯ রাউন্ড কার্তুজ উদ্ধার করা হয়েছে।পরবর্তীতে তাদের বিরুদ্ধেও সংশ্লিষ্ট ধারায় মামলা রুজু হয়েছে।

গৃহবধূর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার,পরিবারের দাবী হত্যা:
গত রবিবার (১৫-মে) সন্ধ্যায় কুতুবদিয়া উপজেলার উত্তর ধুরুং ইউনিয়নের ফুড়ার পাড়া এলাকা থেকে সুমি আকতার (২১) নামের এক গৃহবধূর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

নিহত গৃহবধূ সুমি ওই ইউনিয়নের মদন মিয়াজির পাড়া এলাকার তাজুল ইসলাম প্রকাশ ইছু’র ছেলে সরোয়ার আলমের স্ত্রী। ঘটনার পর থেকেই সুমির স্বামী সরোয়ার আলম আদৌ পলাতক রয়েছে বলে জানা গেছে। স্থানীয়রা প্রাথমিকভাবে পারিবারিক কলহের জেরে ওই গৃহবধূ আত্মহত্যা করেছে বলে ধারণা করলেও সুমির পিতা-মাতার দাবী হত্যা। এ ঘটনায় নিহত সুমির পিতা মোহাম্মদ আকতার বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলাও দায়ের করেছেন। যা বর্তমানে র্যাবের হাতে তদন্তাধীন রয়েছে।

মাটির দেয়াল চাপায় শিশুর মৃত্যু:
মিফতাহুল জান্নাত (৭)।সে উপজেলার উত্তর ধূরুং ইউনিয়নের মনছুর আলী হাজীর পাড়া (ফুলতলা) এলাকার মোঃ ফোরকানের মেয়ে।

গত রবিবার (১২-জুন) রাত আনুমানিক সাড়ে ৯টার দিকে উপজেলার আলী আকবর ডেইল ইউনিয়নের পুতুইন্যার পাড়া নানার বাড়িতে বেড়াতে গিয়ে মাটির দেয়াল চাঁপায় নিহত হন সে।

বজ্রপাতে দুই মৎস্যজীবী নিহত:
উপকূলীয় দ্বীপ কুতুবদিয়ায় গত রবিবার (১৯-জুন) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলার উত্তর ধূরুং ইউনিয়ন এর চুল্লারপাড়া এলাকায় বেড়িবাঁধের বাইরে ফিশিং বোট ঘাটে বজ্রপাতের ঘটনায় ওই এলাকার জাকের উল্লাহর ছেলে মোঃ ইমতিয়াজ (২২) ও দক্ষিণ ধূরুং, ধূরুং কাঁচা এলাকার ছাবের আহমদের ছেলে মোঃ করিম (২৮) নামের দু’জন মৎস্যজীবী নিহত হয়েছে। এসময় ফিশিং বোটের মালিক মোঃ রমিজ ও তার সহোদর ভাই আক্কাস গুরুতর আহত হন।

সিত্রাংয়ের তাণ্ডবে কৃষকের স্বপ্ন ভঙ্গ:
ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের তাণ্ডবে উপকূলীয় এই দ্বীপে ফসলি জমি ও মাছ ঘের’র ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।

টেকসই বেড়িবাঁধ না থাকায় দ্বীপের বিভিন্ন পয়েন্ট দিয়ে লোকালয়ে সাগরের পানি ঢুকে লবণাক্ত পানিতে তলিয়ে গেছে রোপা আমনসহ শীতকালীন সবজি ক্ষেত,শতশত পুকুর ও মাছের ঘের।

উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে,ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে ঝুঁকিপূর্ণ বেড়িবাঁধ দিয়ে পানি ঢুকে ৭২ হেক্টর জমির রোপা আমন ও ২৮ হেক্টর জমির সবজি ক্ষেত লবণাক্ত পানিতে তলিয়ে গেছে। এতে মোট ৬২০ জন কৃষকের প্রায় ৭৫ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে।

অপর দিকে সাগরের লবণাক্ত পানিতে ডুবে গেছে মাছের ঘের-সহ ছোট বড় মোট ১৫০ টি পুকুর। এতে প্রায় ১ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে উপজেলা মৎস্য অফিস সূত্রে জানা গেছে।

চূড়ান্ত রিপোর্ট অনুযায়ী সম্প্রতি ঘুর্ণিঝড় সিত্রায়ের তাণ্ডবে পুরো উপজেলায় ৭২ হেক্টর রোপা আমন ও ২৮ হেক্টর সবজি জমির ক্ষেত লবণাক্ত পানিতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

৫ সন্তানের জননী নিয়ে লাপাত্তা সাবেক মেম্বার:
পরকীয়ার জেরে নুরুন্নবী নামের সাবেক এক ইউপি সদস্যের হাত ধরে ঘর ছেড়েছেন ৫ সন্তানের জননী। চাঞ্চল্যকর এ ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার উত্তর ধূরুং ইউনিয়নের জহির আলী সিকদার পাড়ায়।

এ ঘটনায় গত ৬ নভেম্বর (রবিবার) প্রেমিক যুগল নুরুন্নবী ও শেফা আকতারকে অভিযুক্ত করে কুতুবদিয়া আদালতে একটি মামলা (সি,আর- ৪১২/২২ইং) দায়ের করেছেন শেফা আকতারের স্বামী নেজাম উদ্দিন।

প্রেমের জেরে স্কুল ছাত্রীর আত্মহত্যা:
গত (১৭ ডিসেম্বর) উপজেলার কৈয়ারবিল ইউনিয়নের ঘিলাছড়ি মিয়াজির পাড়া এলাকায় কিশোর প্রেমের জেরে নাঈমা খানম (১৫) নামের অষ্টম শ্রেণির এক শিক্ষার্থী আত্মহত্যা করেছে।

স্থানীয় ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে,ওই গ্রামের মো. ইসকান্দরের একমাত্র মেয়ে কুতুবদিয়া মডেল হাই স্কুল এন্ড কলেজের অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী নাঈমা ঘরের ভিমের সাথে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করে। মা কামরুন্নেছা ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পেয়ে প্রতিবেশিদের সহযোগিতায় হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত বলে ঘোষনা করেন।

স্ত্রী-শাশুড়ির অত্যাচারে স্বামী সন্তানের বিষপান:
স্ত্রী ও শাশুড়ির অত্যাচারে অতিষ্ট হয়ে বিষ পান করে দুই সন্তানসহ আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন আবদুল আজিজ (২৮) নামের এক ব্যক্তি। সে উপজেলার আলী আকবর ডেইল ইউনিয়নের চৌধুরী পাড়া গ্রামের মৃত আবুল হোছাইনের ছেলে।

গত সোমবার (২৬-ডিসেম্বর) সকালে বাড়ির পাশে ধানক্ষেতে নিয়ে গিয়ে প্রথমে ছেলে তামিম ইকবাল (৬) ও মেয়ে আফিফা ছিদ্দিকা মাইমুনা (২)কে পান করিয়ে পরে নিজেও বিষ পান করেন আজিজ।

এ ঘটনায় স্থানীয়রা মুমুর্ষ অবস্থায় আহত আবদুল আজিজ এবং তার দুই ছেলে মেয়েকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করান। দুই সন্তান সুস্থ থাকলেও শারীরিক অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় ওই সময় আবদুল আজিজকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হয়। বর্তমানে সে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন এবং সুস্থ আছেন বলে জানা গেছে।

১৯ দোকান ও ২৩ বসতঘর আগুনে ভস্মীভূত:
গত শুক্রবার (১৮-নভেম্বর) রাত আনুমানিক ২টার দিকে উপজেলার বড়ঘোপ ইউনিয়নের অমজাখালী আল-আমিন মার্কেটে ভয়াবহ এক অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাটি ঘটেছে। কুতুবদিয়ার ইতিহাসে সবচেয়ে নজিরবিহীন ঘটনা এটি। অগ্নিকাণ্ডের ওই ঘটনায় ১৯ টি দোকান ও ২৩ টি বসতঘর আগুনে ভস্মীভূত হয়ে সম্পূর্ণ ছাই হয়ে গেছে। এতে প্রায় ৩ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে প্রাথমিক ভাবে ধারণা করেছেন ক্ষতিগ্রস্ত বসতঘর মালিক ও ব্যবসায়ীরা।

ওই মধ্যরাতে স্থানীয় একটি কুলিং কর্ণার থেকে প্রথমে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে বলে জানা গেছে। স্থানীয়রা আগুন নেভাতে এগিয়ে আসলেও মুহুর্তেই চারদিকে আগুনের লেলিহান শিখা,গ্যাস সিলিন্ডার ও ডিজেলের ব্যারেল বিস্ফোরণের কারণে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়নি।

বাতাসের গতিবেগবৃদ্ধি থাকায় আগুণের লেলিহান শিখা দোকান থেকে আশেপাশে ছড়িয়ে পড়ে ২৩ টি বসতবাড়ি পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। ভয়াবহ ওই অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারগুলো এখনো অতি কষ্টে জীবনযাপন করছে।

তবে এবার ২০২২ এর সফলতা ও বিফলতাকে মুছে ভালো কিছু প্রাপ্তির আশায় নতুন বছরকে বরণ করতে সদা প্রস্তুত দ্বীপবাসী।