হাছান মাহমুদ সুজন,কুতুবদিয়া:

শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের টানা ছুটিতে কিছুদিনের জন্য নিজ মাতৃভূমি দ্বীপ কুতুবদিয়ায় সপরিবারে অবস্থান নেন উপজেলার সদর বড়ঘোপ ইউনিয়নের বাসিন্দা অধ্যাপক আবুল কালাম আজাদ।

দ্বীপে এসে সম্প্রতি তার ৮ বছরের কন্যা শিশু ফৌজিয়া নুসরাত সর্দি জ্বরে আক্রান্ত হলে রবিবার (২৫-ডিসেম্বর) কুতুবদিয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আর.এম.ও ডাঃ রেজাউল হাছানের স্মরণাপন্ন হন।

তার পরামর্শমতে হাসপাতাল গেইটের ৩০ গজের মাথায় ন্যাশনাল ডায়াগনস্টিক এন্ড হেলথ সেন্টার থেকে টাইফয়েড পরীক্ষা করান।

পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে ওই ডায়াগনষ্টিক সেন্টার থেকে শিশু ফৌজিয়ার টাইফয়েড় হয়ছে মর্মে একটি মনগড়া টাইফয়েড রোগের রিপোর্ট দেন।

ওই রিপোর্টের ভিত্তিতে অধ্যাপক আবুল কালাম আজাদ এর কন্যা শিশু ফৌজিয়াকে টাইফয়েড রোগের চিকিৎসা দেন ডাঃ রেজাউল হাছান।

তার দেওয়া ব্যবস্থাপত্র মতে ইনজেকশন দেয়ার সাথে সাথেই অনবরত অস্বাভাবিক পায়খানা ও বমি করে মৃত্যুদশার শিকার হন ৮ বছরের শিশু ফৌজিয়া নুসরাত।

এ চিকিৎসা ও ন্যাশনাল ডায়াগনস্টিক এন্ড হেলথ সেন্টারের দেয়া রিপোর্ট নিয়ে সন্দেহ সৃষ্টি হলে ক্ষতিগ্রস্ত শিশুর অভিভাবক মঙ্গলবার (২৭ ডিসেম্বর) পাশের উপজেলা পেকুয়ায় শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ ডাঃ নুসরাত জেবিনের স্মরণাপন্ন হয়ে পুন:পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে নিশ্চিত হন যে, ওই শিশুর শরীরে আদৌ টাইফয়েড রোগের কোন লক্ষণ নেই।

শিশু ফৌজিয়ার অভিভাবক অধ্যাপক আবুল কালাম আজাদ কক্সবাজার নিউজ ডট কম (সিবিএন)কে বলেন, তার মেয়েকে অহেতুক টাইফয়েড রোগের চিকিৎসা দেওয়াতে সাইড এপেক্ট হয়ে মৃত্যুদশার শিকার হয়েছে।

বর্ণিত চিকিৎসা অব্যাহত রাখলে তার মেয়ের প্রাণনাশের আশঙ্কা ছিল বলে মন্তব্য করেন ওই শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক।

এ ভাবে প্যাথলজিক্যাল রিপোর্টের ওপর অপচিকিৎসা নিয়ে মারাত্মক ক্ষতির শিকারের অভিযোগ নিত্যদিনের।

আর যেন নিরীহ মানুষের জীবন নিয়ে ছিনিমিনি খেলার কোনো ঘটনা না ঘটে সে বিষয়ে জরুরী ভিত্তিতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নজর দেয়ার দাবী জানান শিশু ফৌজিয়ার অভিভাবক ও দ্বীপের সচেতন মহল।