নিজস্ব প্রতিবেদক:

মহেশখালী উপজেলার হোয়ানক ডেইল্যাঘোনায় চুরির অপবাদ দিয়ে এক কিশোরকে স্থানীয় ইউপি মেম্বারের নেতৃত্বে গণধোলাই দেয়ার অভিযোগ উঠেছে। শুধু তাই নয়; মেশিন দিয়ে ওই কিশোরের হাতের নখ তুলে নেয়া হয়েছে। নির্মমভাবে পিটানো হয়েছে হাতুড়ি দিয়ে। দুই দিন আটকে রেখে ওমর ফারুক নামের ওই কিশোরকে এভাবে নির্যাতন করা হয়েছে। এতে গুরুতর আহত হয়েছে সে। তাকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। নির্যাতনের শিকার ওমর ফারুক পার্শ্ববর্তী পূর্ব হরিয়ারছড়ার আব্দুল আজিজের পুত্র।

ওই কিশোর বলেন, সে কোনো ধরণের চুরি করেনি। গভীর রাতে খালার বাড়ি থেকে ফেরার পথে সন্দেহজনক আটক করে চুরির অপবাদ দিয়ে দুই দিন নির্যাতন করা হয়েছে।

পানের কাজ করার জন্য আধাঁর ঘোনায় খালার বাড়িতে গিয়েছিলো ওমর ফারুক। কাজ শেষে বাড়ি ফিরতে দেরি হয়ে যায়। পথিমধ্যে ডেইল্যাঘোনা আসলে একটি কুকুর তাকে তাড়া করে। এতে ভয় পেয়ে দে দৌঁড় দেয়। দৌঁড়া দেখে নূরুল আবছার সওদারসহ কয়েকজন তাকে চোর সন্দেহে আটক করে।

কিশোর ওমর ফারুক জানিয়েছেন, ওইদিন রাতে ডেইল্যাঘোনার আবছার সওদাগর তাকে আটক করে নির্মমভাবে নির্যাতন করেছেন। পরদিন স্থানীয় ইউপি সদস্য শামসুল আলমের কাছে সোপর্দ করলেও তিনি ও চৌকিদার শফি আলমসহ স্থানীয় লোকজন এই কিশোরকে গণধোলাই দেয়। ওমর ফারুককে হাতুড়ি দিয়ে পুরো শরীরে পিটানো হয়েছে। লাঠি দিয়ে আঘাত করা হয়েছে। মেশিন (প্লাজ) দিয়ে হাতের নখ তুলে নিয়েছে।

কিশোর ওমর ফারুকে মা জানিয়েছেন, চুরির অপবাদ দিয়ে ওমর ফারুককে আটকের পর তার বাড়ি খবর পাঠায় নির্যাতনকারীরা। তাকে ছেড়ে দিতে দুই লাখ টাকা দাবি করে। টাকা না দেয়ায় দুইদিন ধরে নির্যাতন করেছে। এই নির্মম ঘটনার বিচার চেয়েছেন তিনি।

গুরুতর আহত কিশোর ওমর ফারুক বর্তমানে মুর্মূর্ষু অবস্থায় কক্সবাজার সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তার অবস্থা সংকটাপন্ন বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।