আনোয়ার হোছাইন,ঈদগাঁও :

কক্সবাজারের ঈদগাঁও উপজেলার হাজারো একর ফসলি জমির মাটির উর্বরাংশ লুটের মহোৎসব চলছে। ডজনাধিক ইটভাটা মালিক এর নেপথ্যে বলে কৃষকেরা দাবি করছে। এলাকাভিত্তিক বিশেষ শুক্র রাত-বিরাতে ডজনাধিক এক্সেভেটর দিয়ে এ মাটি কাটা চালিয়ে যাচ্ছে। এতে করে এসব ফসলি জমি বিরানভূমিতে পরিণত হচ্ছে। হুমকির মুখে পড়ছে আসন্ন শস্য মৌসুম। চলমান মাটি কাটার ফলে জমির উর্বরা শক্তি কমে যাওয়ায় শস্য উৎপাদন নিয়ে চরম আতঙ্কিত স্থানীয় কৃষকরা
সরেজমিন দেখা যায়, উপজেলার পাঁচ ইউনিয়নের ডজনাধিক পয়েন্টে ১৫/২৯ টি এক্সেভেটর দিয়ে মাটি কাটা হচ্ছে। বিশেষ করে ঈদগাঁও,ইসলামাবাদ ও জালালাবাদ ইউনিয়নে চলছে ফসলি জমির টপসয়েল খ্যাত শস্য জন্মানোর অন্যতম প্রাণ উর্বরা মাটি কেটে প্রতি ডাম্পার ১/২ হাজার মূল্যে উপজেলার ইটভাটা গুলোতে বিক্রি করছে ।
অপরদিকে এসব ইউনিয়নের গুরত্বপূর্ণ রাস্তা দিয়ে রাত-দিন শতাধিক বেপরোয়া মাটি ভর্তি ডাম্পার চলাচলের কারণে সরকারের হাজারো কোটি টাকায় নির্মিত রাস্তাঘাট লন্ডভন্ড হয়ে চলাচল অনুপযোগী হয়ে পড়ছে বলে সচেতন এলাকাবাসীর অভিযোগ।
এভাবে টপসয়েল লুটের বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হলে ক্ষোভ প্রকাশ করছেন সচেতন মহল।
এ মাটি লুট চক্র সরকার,জনগণ ও কৃষকের ক্ষতির তোয়াক্কা না করে রাতেও শক্তিশালী ফ্লাডলাইট জ্বালিয়ে বিশেষ চক্রের সহায়তায় টপসয়েল কাটা অব্যাহত রেখেছে ইটভাটা মালিকরা।

অনুমোদন ও পরিবেশ ছাড়পত্রবিহীন এ ইটভাটা গুলো বিগত প্রায় ২ যুগ ধরে এলাকার পরিবেশ, প্রতিবেশ ধ্বংস ও স্হানীয় জনগোষ্ঠীর জন্য স্বাস্হ্যগত হুমকি সৃষ্টি করলেও রহস্যময় কারণে সবসময় ধরা ছোঁয়ার বাইরে থেকে গেছে।

পরিবেশ অধিদপ্তর কক্সবাজার এর উপ পরিচালক হাফিজুর রহমান ফোন রিসিভ না করায় এ ব্যাপারে বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।
কক্সবাজার সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ জাকারিয়া বলেন,
ফসলী জমি থেকে টপসয়েল কাটা বন্ধ করতে উপজেলার বিভিন্ন স্হানে রাতেও অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। টপসয়েল কাটা বন্ধে পুনরায় অভিযান পরিচালনা করা হবে।