হ্যাপী করিম,মহেশখালী:
মহেশখালী উপজেলার কালারমারছড়াতে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় পীরজাদা বীর মুক্তিযোদ্ধা ছৈয়দ আহমদুল্লাহ’র দাফন সম্পন্ন হয়েছে।

১৮ ই ডিসেম্বর (রবিবার) দুপুর ২ টায় কালারমারছড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠে জানাজা শেষে মধুপুর দরবার শরীফ’স্থ মরহুম মাওলানা পীর ছৈয়দ মসউদুল করিমের পাঞ্জা খানায় ও জামে মসজিদের পাশে চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন পীর শাহজাদা বীর মুক্তিযোদ্ধা ছৈয়দ আহমদুল্লাহ। দাফনের আগে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে তাকে গার্ড অব অনার প্রদান করা হয়। মহেশখালী কুতুবদিয়া আসনের সাংসদ সদস্য আলহাজ্ব আশেক উল্লাহ রফিক ও উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) এ এফ এম শামীম’র তার মরদেহে পুষ্পমাল্য অর্পন করে রাষ্ট্র পক্ষের সালাম গ্রহণ করেন। এসময় মহেশখালী থানার ওসি তদন্ত মীর আব্দুর রাজ্জাক এর নেতৃত্বে পুলিশের একটি চৌকস দল গার্ড অব অনার প্রদান করেন।

কালারমারছড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠ প্রাঙ্গণে বীর মুক্তিযোদ্ধা ছৈয়দ আহমদুল্লাহ’র জানাজায় বক্তব্য রাখেন. আলহাজ্ব আশেক উল্লাহ রফিক-এমপি, মরহুম ছোট ভাই বীর মুক্তিযোদ্ধা ছৈয়দ বাজি বিল্লাহ ও ছৈয়দ রকিয়ত উল্লাহ, মহেশখালী উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি, ফরিদুল আলম, মাস্টার রুহুল আমিন, সাবেক উপজেলা কমন্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা ছালেহ আহমদ, মাস্টার লিয়াকত আলী, ডা. নুরুল আমিন, ফোরকান আহমদ বিএ’সহ সকল বীর মুক্তিযোদ্ধাগণ, মহেশখালী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও কালারমারছড়া ইউপি চেয়ারম্যান তারেক বিন ওসমান শরীফ, ধলঘাট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এস এম আবু হায়দার, উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তা ও বিভিন্ন রাজনৈতিক সংগঠন ও বিভিন্ন শ্রেণিপেশার হাজারো অন্যান্য স্থানেও তাঁহার ভক্ত মুরিদের শেষ বিদায়ে মানুষের ভালোবাসায় সিক্ত হয়েছেন।

ভক্ত ও মুরিদ’রা জানান..তিনি অত্যন্ত ভালো মনের মানুষ ছিলেন। সর্বদা আশেকান-ভক্ত এবং মানুষের সুখে-দুঃখে পাশে থাকতেন। আমি ও আমার পরিবার তাঁর শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাচ্ছি। তাঁর বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি। মহান আল্লাহ ওনাকে জান্নাতুল ফেরদাউস নসীব করুণ। আমিন।

উল্লেখ্য- গত শনিবার, ১৭ ই ডিসেম্বর দুপুর ১.১৫ মিনিটের সময় মধুপুর দরবার শরীফের পাঞ্জা খানায় হঠৎ হৃদযন্ত্রে ক্রিয়া বন্ধ হয়ে, শাহজাদা, বীর মুক্তিযোদ্ধা ছৈয়দ আহমদুল্লাহ (৭৭) ইন্তেকাল করেছেন (ইন্না…রাজেউন)। মৃত্যুতে কান্নায় ভেঙে পড়েছেন অনুসারী, বক্ত ও আলেম সমাজের মধ্যে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। ১৯৭১ সালে পাক হানাদার বাহিনীকে রুখে দিতে বীর মুক্তিযোদ্ধা সৈয়দ আহমদ উল্লাহ ও তাঁর ভাই সৈয়দ লকীয়ত উল্লাহ’সহ এদেশে স্বাধীনতার সংগ্রামে সশস্ত্র মুক্তিযোদ্ধে অংশ নিয়েছিলেন। তিনি একজন পরিচ্ছন্ন ও সজ্জন ব্যক্তি ছিলেন, নিরহংকার শিক্ষাবিদ, বাংলা, আরবি, ফার্সি ও উর্দু ভাষার উপর তার অন্যরকম পন্ডিত ছিল।