জাহেদ হাসান:
কক্সবাজার সদর উপজেলার ঝিলংজার দক্ষিণ মহুরীপাড়ায় বনভূমি দখল করে পাকা দালান নির্মাণ করা হচ্ছে এমন সংবাদ জাতীয় ও স্হানীয় পত্রিকায় প্রকাশিত হওয়ার পর নড়েছড়ে বসেছে বনবিভাগ। এরই পরিপ্রেক্ষিতে সদর উপজেলা প্রশাসন ও বনবিভাগ যৌথ অভিযান পরিচালনা করে বনভূমি দখল করে অবৈধভাবে নির্মিত স্হাপনা উচ্ছেদ করা হয়।

মঙ্গলবার (১৩ ডিসেম্বর)সকালে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও)মোহাম্মদ জাকারিয়া’র সার্বিক তত্ত্বাবধানে ও কক্সবাজার সদর রেঞ্জের রেঞ্জ কর্মকর্তা সমির রঞ্জন সাহা’র নেতৃত্বে এ অভিযান চালানো হয়।

বনবিভাগ বলেন,অভিযানের পূর্বে লিংকরোড বিটের বিট কর্মকর্তা মোঃ সোহেল হোসেন তার স্টাফ ও সিপিজি সদস্যদের নিয়ে বনভূমিতে অবৈধভাবে নির্মিত স্হাপনা পরিদর্শনে গেলে ওই এলাকার কিশোর গ্যাং লিডার এনামুল হক দলবলে লাঠিসোটা নিয়ে বনকর্মীদের উপর অতর্কিত হামলা করে ৪ জন বনকর্মীকে গুরুতর আহত করে।আহতদের উদ্ধার করে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। পরে বনবিভাগ সদর উপজেলা প্রশাসনের সহযোগীতা চাইলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, সদর মডেল থানা পুলিশ ও বনবিভাগ যৌথ অভিযান পরিচালনা করে স্হাপনা গুলো ভেঙ্গে গুড়িয়ে দেয়।

বনবিভাগের উপর হামলাকারীরা হলেন,আবু বক্কর সিদ্দীক প্রকাশ রোহিঙ্গা ইউসুফ ড্রাইভার, তার ছেলে কিশোর গ্যাং লিডার এনামুল হক,মেয়ে ইয়াছমিন আক্তার,আবু বক্কর সিদ্দীক প্রকাশ রোহিঙ্গা ইউসুফ ড্রাইভারের স্ত্রী জুহুরা বেগম তার বোন জোহারা বেগম সহ অজ্ঞাত আরো ৩/৪ জন।

লিংকরোড বিট কর্মকর্তা মোঃ সোহেল হোসেন বলেন,আমি যখন আমার স্টাফ ও সি পি জি সদস্যদের নিয়ে বনভূমি দখলের বিষয়ে ঘটনাস্থলে গেলে ৭/৮ জন লোক দলবদ্ধ হয়ে লাঠিসোটা নিয়ে আমার সিপিজি সদস্যদের উপর হামলা করে।আহতদের উদ্ধার করে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে প্রেরণ করি।পরে আমি আমার উর্ধবতন কর্তৃপক্ষের সহযোগীতা চাইলে তারা সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে অবগত করলে,তিনি সদর মডেল থানা পুলিশ সহ এসে অভিযান চালিয়ে অবৈধভাবে নির্মাণ করা স্হাপনা ভেঙে গুড়িয়ে দেয়।

কক্সবাজার সদর রেঞ্জ কর্মকর্তা সমির রঞ্জন সাহা বলেন,বনভূমি দখলকারীদের বিরুদ্ধে আমাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছ,এরই অংশ হিসেবে আজ লিংকরোড বিট কর্মকর্তা বিটের স্টাফদের নিয়ে টহলে গেলে বনভূমি জবরদখলকারীরা তাদের উপর অতর্কিত হামলা করে গুরুতর আহত করে।আহতদের কক্সবাজার সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এবিষয়ে মামলার প্রক্রিয়া চলছে বলেও তিনি নিশ্চিত করেন।

সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও)মোহাম্মদ জাকারিয়া বলেন,বনবিভাগকে সাথে নিয়ে অভিযান পরিচালনা করে অবৈধ স্হাপনা উচ্ছেদ করা হয়।জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে বনবিভাগকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।চলমান এ অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও জানান তিনি।

অভিযানে লিংকরোড বিট কর্মকর্তা মোঃ সোহেল হোসেন, হিমছড়ি বিট কর্মকর্তা কামরুজ্জমান সুভন,ঝিলংজা বিট কর্মকর্তা আব্দুস সালাম,চেইন্দা বিট কর্মকর্তা ফছিউল আলম শুভ এবং বিটের স্টাফ সহ সিপিজি সদস্যারা অংশগ্রহণ করেন।