হ্যাপী করিম, মহেশখালী প্রতিনিধি:
মহেশখালী উপজেলার মাতারবাড়ী ইউনিয়নেয় প্রান্তিক জেলেদের শতভাগ সরকারি সুরক্ষা সেবার আওতায় আনার দাবী জানিয়েছেন মৎস্যজীবী নেতৃবৃন্দ।

২৪ নভেম্বর বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১১ টায় মাতারবাড়ী ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ের কোস্ট ফাউন্ডেশনের আয়োজনে ও মানুষদের জন্য ফাউন্ডেশনের সহযোগিতায় উপকূলীয় প্রান্তিক জেলেদের জীবনমান উন্নয়নে সরকারি সুরক্ষা সেবায় প্রবেশাধিকার ও চ্যালেঞ্জ বিষয়ক নাগরিক সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়েছে

এতে কোস্ট ফাউন্ডেশন এর ফিল্ড কোর্ডিনেটর জুলফিকার হোসেন এর সভাপতিত্বে সংলাপে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মাতারবাড়ী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এস এম আবু হায়দার, বিশেষ অতিথি বক্তব্য রাখেন..প্যানেল চেয়ারম্যান আব্দুল খালেক সিকদার, মহেশখালী উপজেলা মৎস্য অধিদপ্তর প্রতিনিধি জাহাঙ্গীর আলম, ইউপি সদস্য মিসবাহ উদ্দিন কাইছার, হোসনে আরা বেগম’সহ কোস্ট ফাউন্ডেশন এর ফিল্ড কোর্ডিনেটর মোহাম্মদ আব্দুল হান্নান আরমান, মোজাম্মেল হক ও ক্ষুদ্র জেলে সংগঠনের নেতৃবৃন্দ, নাগরিক সমাজের প্রতিনিধি, রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ, ক্ষুদ্র জেলে প্রতিনিধি ও সাংবাদিক প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

জেলে প্রতিনিধিরা জানান, শুধু সীমিত চাউলের বরাদ্দে তারা সন্তুষ্ট নয় জেলে তাদের বিভিন্ন সরাঞ্জম বা টেকসই মাছ ধরার জিনিসপত্রের দাবি,তাদের সমস্যা বলতে বড় জাইল্যারা ছোট জাইল্যাদের উপর যুুলুম এবং জল দস্যুদের বাধা, নিবন্ধিত সকলের জন্য চাউলের বরাদ্দ করে আরো কিছু নতুন জেলে নিবন্ধিত করার দাবি। নদীতে বালির টলিয়ে তাদের জাল কেটে ক্ষতি করে। প্রান্তিক জেলেদের জীবনমান উন্নয়নের ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতা ও বিভিন্ন সুপারিশ সমূহ উপস্থাপন করেন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে এস এম আবু হায়দার বলেন আমরা চলতি বছর সকল জেলেকে চাল বরাদ্দ দিয়েছি। আমরা মাছধরা নিষিদ্ধকালীন সময়ে ক্ষতিপূরণ হিসেবে ব্যাংক অনলাইনে ভাতা প্রদানের সুপারিশ করবো। চলতি মাসের মধ্যে প্রকৃত জেলেদের নিবন্ধনের সুযোগ দেয়া হবে। জনবল বৃদ্ধি করলে কার্যকর তদারকি সম্ভব হবে। উপজেলা মাসিক সভায় লজিক প্রকল্পের মাধ্যমে জীবন রক্ষাকারী উপকরণ বিতরণ বৃদ্ধির ও সুপারিশ করা হবে। আশা করছি আগামীদিনে সকলের প্রচেষ্ঠায় সরকারের সুরক্ষা সেবার চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে জেলেদের শতভাগ সুরক্ষা সুবিধা নিশ্চিত করতে পারবো।

সভাপতির বক্তব্যে জুলফিকার হোসেন বলেন আমরা বিশ্বাস করি, সামাজিক নিরাপত্তা এই সেবার মান উন্নয়নে নীতিগত চর্চার বিষয় গুলোকে গুরুত্ব দিয়ে স্থানীয় প্রতিবন্ধকতা সমূহ দূড় করতে নীতি নির্ধারনী, সরকারী কর্মকর্তা-কর্মচারী, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, সুবিধা গ্রহণকারী ও নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিদের কার্যকর অংশগ্রহণ ও সম্মিলিত প্রচেষ্টা অতীব জরুরী।