বার্তা পরিবেশক :
কক্সবাজারে আসছেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য এড. জাহাঙ্গীর কবির চৌধুরী নানক। তিনি শুক্রবার বিকালে শহীদ দৌলত ময়দানে জেলা ছাত্রলীগ আয়োজিত ছাত্র সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে।

এদিকে আগামী ১৭ অক্টোবর বহুল কাঙ্খিত কক্সবাজার জেলা পরিষদের নির্বাচন। নির্বাচনকে সামনে রেখে ইতোমধ্যে জমে উঠেছে প্রচারণা। ভোটারদের মন জয় করতে প্রার্থীরা কোমর বেঁধে মাঠে নেমেছে। তারমধ্যে মোটর সাইকেল প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী মোস্তাক আহমদ চৌধুরীর বিরুদ্ধে নির্বাচনে আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ উঠেছে।

জাহাঙ্গীর কবির চৌধুরী নানকের কক্সবাজার আগমণে জেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রভাব বিস্তারের শঙ্কা প্রকাশ করেছেন চেয়ারম্যান প্রার্থী আনারস প্রতীকের শাহীনুল হক মার্শাল। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী মোস্তাক আহমদ চৌধুরী নানাভাবে নির্বাচনকে কলুষিত করার ছক কষছেন। অবৈধভাবে ভোটারদের মাঝে টাকা বিতরণ করছেন তিনি তাঁর পক্ষে নির্বাচনী আচরণবিধি ভঙ্গ করে প্রচারণা চালাচ্ছেন সংসদ সদস্যরা। নির্বাচনী আচরণবিধিতে সংসদ সদস্যরা প্রচারণায় অংশ নিতে পারে না। কিন্তু এখনো তারা প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছে মোটরসাইকেলের পক্ষে। আমার ভোটাররা এখন শঙ্কিত। তারা ভোট দিতে পারবেন কিনা এটা নিয়ে শঙ্কায় আছেন।

মার্শাল আরও বলেন, এটি কোন দলীয় প্রতীকের নির্বাচন নয়। আমার সবাই চাই একটি নিরপেক্ষ, অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন। স্থানীয় এই নির্বাচনের ৪দিন আগে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির কক্সবাজারে আসা মানে অশনি সংকেত। তিনি নির্বাচনে একচ্ছত্রভাবে প্রভাব বিস্তার করার আশংকা রয়েছে। আর তাঁকে ব্যবহার করে মোস্তাক আহমদ চৌধুরী আরও বেপরোয়া হয়ে উঠবেন। কিন্তু কক্সবাজারের মানুষ নির্বাচন নিয়ে সকল ষড়যন্ত্র শক্তভাবে মোকাবেলা করবে। তিনি এ বিষয়ে ভোটারদের আতঙ্কিত না হয়ে সজাগ থাকার আহ্বান জানিয়েছেন।

এবারের কক্সবাজার জেলা পরিষদ নির্বাচনে চারজন চেয়ারম্যান, নয়টি সাধারণ ওয়ার্ডের সদস্য পদে ৩৩ জন এবং তিনটি সংরক্ষিত নারী আসনের ১১ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

আগামী ১৭ অক্টোবর ইভিএমের মাধ্যমে নির্বাচনের ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। জেলার ৭১ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান, ইউপি সদস্য, ৮ উপজেলা চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান, ৪ পৌরসভার মেয়র, কাউন্সিলরসহ ভোটার রয়েছে ৯৯৪ জন।