এম.এ আজিজ রাসেল:
বাংলাদেশ পুলিশের মহাপরিদর্শক ড. বেনজীর আহমেদ বলেন, বিগত ৪০০ বছল ধরে সুন্দরবন ছিল একটা আতংকের নাম। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনায় র‌্যাব এখানে অপারেশন শুরু করলো। নিরলস প্রচেষ্টায় ২০১৮ সালে সুন্দরবন দস্যুমুক্ত হলো। কিন্তু এটি তেমন সহজ ছিল না। নিরাপদ সুন্দরবন করতে গিয়ে ঝরেছে অনেক রক্ত ও ঘাম। শুধু বেতনের জন্য নই, দেশপ্রেম ও মানুষের জন্য নিষ্ঠা ও আন্তরিকতার সাথে কাজ করেছে র‌্যাবের সদস্যরা। তাই তারাই দেশের রিয়েল হিরু।

শুক্রবার সন্ধ্যায় সৈকতের লাবণী পয়েন্টে সুন্দরবনে র‌্যাবের দুঃসাহসিক অভিযান নিয়ে বাংলাদেশে প্রথম ওয়াইল্ড লাইফ অ্যাকশন থ্রিলার মুভি ‘অপারেশন সুন্দরবন’ এর ট্রেইলার উন্মোচনকালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

তিনি আরও বলেন, র‌্যাবের সদস্যরা দেশকে ভালবেসে আত্মহুতি দিয়েছে। শত শত সদস্য আহত আছে। কারও হাত উড়ে গেছে, কারও পা। কখনো পরিবার ও সন্তানের কথা চিন্তা করেনি। দায়িত্ব থেকে পিছিয়ে ছিল না তারা। সিনেমার চেয়ে র‌্যাবের সব অভিযান অনেক বেশি সিনেমাটিক, দুঃসাহসিক।

তিনি বলেন, দস্যুমুক্ত হওয়ায় সুন্দরবনের ২৫ লক্ষ মানুষ সুফল ভোগ করছে। আগের তুলনায় এখানে বাঘ, হরিণসহ প্রাণীর সংখ্যা বেড়েছে। আমাজান থেকে ব্রাজিল ব্রিলিয়ন ব্রিলিয়ন ডলার আয় করে। বাংলাদেশও এমন বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার আয় করতে পারবে। দর্শকরা সিনেমা হলে যাচ্ছে। আমরা চাই সুষ্ঠু বিনোদন হোক। মাদকমুক্ত সমাজ হোক। কিশোর গ্যাং বন্ধ হোক। এই সিনেমায় শিল্পীরা মনযোগ দিয়ে কাজ করেছে। যা পরবর্তী তাদের ক্যারিয়ারে কাজে লাগবে।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন মহাপরিচালক চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন। এসময় উপস্থিত ছিলেন বিভিন্ন দপ্তরের পদস্থ কর্মকর্তাবৃন্দ।