এম. এ আজিজ রাসেলঃ
সন্ত্রাসীদের ছুরিকাঘাতে নিহত ছাত্রলীগ নেতা ইমনের প্রথম নামাজে জানাজা টেকপাড়া জামে মসজিদ ও দ্বিতীয় নামাজে জানাজা খরুলিয়া দরগাহ পাড়া বায়তুল মামুর জামে মসজিদ মাঠে অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শনিবার সকাল ৯টা ও ১১টায় দুই দফায় অনুষ্ঠিত জানাজায় বৃষ্টি উপেক্ষা করে শোকাহত মানুষের ঢল নামে।

জানাজাপূর্বে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখেন, জেলা জামায়াতের সাবেক আমির মাওলানা মোস্তাফিজুর রহমান, ঝিলংজা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান টিপু সুলতান, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি এস,এম সাদ্দাম হোসেন, ঝিলংজা ৬নং ওয়ার্ডের মেম্বার মোহাম্মদ নাছির উদ্দিন, ঝিলংজা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান প্রার্থী মাওলানা আবুল কাশেম, শহর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক ওসমান সরওয়ার আলম চৌধুরী ও নিহতের চাচা মোস্তফা।

এসময় উপস্থিত ছিলেন সাবেক পৌর মেয়র সরওয়ার কামাল, সাবেক পৌর কাউন্সিলর সিরাজুল হক, টেকপাড়া জামে মসজিদ পরিচালনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক মমতাজুল ইসলাম, নিহত ইমনের নানা টেকপাড়া সমাজ কমিটির সাবেক সভাপতি গোলাম মওলা বাবুল, ৪নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি আরমানুল আজিম, নিহতের পিতা ব্যবসায়ী মোহাম্মদ হাছান, টেকপাড়া সমাজ কমিটির সাধারণ সম্পাদক শামসুল আলম কেলু, টেকপাড়া সোসাইটির সভাপতি এম. জাহেদ উল্লাহ, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সদস্য ফয়সাল আবদুল্লাহ, ব্যবসায়ী আবদুল্লাহ আল মামুন রিয়াদ, ব্যবসায়ী কায়সার মওলা ও পৌর ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আসিফুল করিম।

জানাজা শেষে তাঁকে খরুলিয়া মধ্যম মুক্তারকুল কবরস্থানে দাফন করা হয়।

গত বৃহস্পতিবার সাড়ে ৯টার দিকে পেশকার পাড়ার বাঁকখালী নদীর সিকো বরফ কল পয়েন্টে ইমন হাসান মওলা তাঁর পিতার মোটর সাইকেল নিয়ে ঘুরতে যায়। সেখানে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে তাঁর গতিরোধ করে পেশকার পাড়া এলাকার বহু মামলার আসামী আবদুল্লাহ খান, ছৈয়দ আকবর, রমজান আলী, ইমন, মিন্টু, তৌহিদ, জুয়েল, মুন্না, সানি ও ফরহাদসহ ১০-১২ জন সন্ত্রাসী। এসময় ইমনকে শরীরে বিভিন্ন স্থানে উপর্যুপরি ছুরিকাঘাত করে সন্ত্রাসীরা। ছিনিয়ে নেওয়া হয় তাঁর ব্যবহৃত মোটর সাইকেলটি। পরে গুরুতর আহত অবস্থায় ইমন মাটিতে ঢলে পড়লে মৃত্যু হয়েছে ভেবে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়। পথচারীরা তাঁকে উদ্ধার করে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক ইমনের শারীরিক অবস্থা সংকটাপন্ন দেখে উন্নত চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল হাসপাতালে রেফার করেন। চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত ৩টার দিকে সে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে। ইমন হত্যার প্রতিবাদে মিছিল ও বিক্ষোভ সমাবেশসহ নানা কর্মসূচি পালন করে জেলা ছাত্রলীগ।