ইমাম খাইর, সিবিএনঃ
বিয়ের আয়োজনের আগেই মেয়ের বাড়িতে হাজির হন উখিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) ইমরান হোসাইন সজিব। বন্ধ করলেন বাল্যবিয়ে।

সেই সঙ্গে মেয়েকে ১৮ বছরের আগে বিয়ে না দেওয়ার শর্তে অভিভাবকদের নিকট থেকে মুচলেকা নেন তিনি। পড়ালেখার খরচে সহায়তার আশ্বাসও দেন ইউএনও।

শুক্রবার (২২ জুলাই) বিকেলে রাজাপালং ইউনিয়নের হরিণমারা এলাকায় অভিযানটি চালানো হয়।

মেয়েটি আবুল কাশেম নুরজাহান চৌধুরী উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্রী।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার সোনারপাড়া এলাকার ওসমান গণি নামক যুবকের সঙ্গে স্কুলছাত্রীর বিয়ের সব আয়োজন সম্পন্ন হয়। খবরটি স্থানীয় বাসিন্দা ও সাংবাদিকরা প্রশাসনকে অবহিত করে।

এ বিষয়ে ইউএনও ইমরান হোসাইন সজিব বলেন, হরিণমারা এলাকায় নবম শ্রেনীতে পড়ুয়া স্কুলছাত্রীর বিয়ে আয়োজনের খবর দেয় স্থানীয় বাসিন্দা ও সংবাদকর্মীরা। তাৎক্ষণিক অভিযান চালিয়ে বিয়ের কার্যক্রম বন্ধ করা হয়।

তিনি বলেন, ছাত্রীর পড়াশোনার খরচে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা করবে উপজেলা প্রশাসন।

উখিয়া প্রেসক্লাবের সভাপতি সাঈদ মোহাম্মদ আনোয়ার বলেন, বাল্যবিবাহ একটি সামাজিক ব্যধি। সাম্প্রতিক সময়ে উখিয়ায় বাল্য বিবাহের প্রবণতা বেড়েছে। বাল্য বিয়ে বন্ধে প্রশাসনের তৎপরতা জোরদার করতে হবে। সেইসঙ্গে বাল্য বিবাহ বিষয়ে ব্যাপক গণসচেতনতা তৈরি করা দরকার।