শেফাইল উদ্দিন:

কক্সবাজারের ঈদগাঁওতে কিশোরী ধর্ষণের ঘটনা ধামাচাপা দেয়ার অভিযোগে উঠেছে। এ ঘটনায় এলাকায় তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে।
উপজেলার ইসলামাবাদ ইউনিয়নের পাহাশিয়াখালী আশকর পাহাড়ে এ ঘটনা ঘটে।

জানা যায়, ইসলামাবাদ ইউনিয়নের টেকপাড়া এলাকার (নাম গোপন) মেয়ে ছদ্মনাম ( সামিরা) ১৩ এর সাথে একই ইউনিয়নের উত্তর পাহাশিয়াখালী গ্রামের মোজাম্মেল হকের ছেলে টমটম চালক রায়হানের পরিচয়ের সূত্র ধরে মন দেয়া নেয়া। এরই ধারাবাহিকতায় ঈদের পরদিন ১১ জুলাই রায়হান সামিরাকে রেল লাইন বেড়াতে যাওয়ার কথা বলে ঘর থেকে বের করে বিভিন্ন জায়গায় ঘুরাঘুরির পর রাতে তার বন্ধু হামিদ সহ আশকর পাহাড়ে নিয়ে গিয়ে উপুর্যুপরি ধর্ষণ করে। এরপর তার শোর চিৎকারে এলাকার লোকজন এগিয়ে আসলে সামিরা তাদের ঘটনা খুলে বলে ।এলাকার লোকজন তাকে রায়হানের বাড়িতে পাঠিয়ে দেয় সেখানে তাকে রায়হানের পরিবারের লোকজন মারধর সহ বিভিন্ন নির্যাতন চালায়। এক পর্যায়ে একটি চক্র ঘটনা ধামাচাপা দিতে বিচার সালিশের কথা বলে ভিকটিমকে বাবার হাতে তুলে দেয়।
এ ব্যাপারে ভিডিও বার্তায় কিশোরী সামিরা জানান ,প্রায় বছর খানেক ধরে রায়হানের সাথে তার প্রেমের সম্পর্ক। ঈদের পরের দিন তাকে বেড়াতে যাওয়ার কথা বলে রায়হান ঘর থেকে বের করে টমটম নিয়ে বিভিন্ন জায়গায় ঘুরাঘুরির পর রাতে বর্নিত স্থানে নিয়ে গিয়ে বন্ধু হামিদ সহ উপুর্যুপুরি ধর্ষণ করে।
ধর্ষিতা কিশোরীর বাবা (নাম গোপন) ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, এ ব্যাপারে মেম্বার আবদু রাজ্জাক বিচার বৈঠকে করে সমাধানের কথা বলেছে । সমাধান না হলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
রায়হানের বাড়ির পার্শ্ববর্তী ব্যবসায়ী, ছাত্র সহ বিভিন্ন শ্রেনী পেশার লোকজন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন ।
এ ব্যাপারে মেম্বার আব্দু রাজ্জাকের সাথে কথা হলে ঘটনা সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন এটা আপোষ যোগ্য নয় এ ব্যাপারে সম্ভব হলে ভিকটিমকে আইনী সহযোগিতা করতে অনুরোধ জানান।
স্থানীয়রা জানান, একটি চক্র এ ঘটনা ধামাচাপা দিতে মরিয়া হয়ে উঠেছে এবং টাকার লেনদেন হয়েছে।
এ ব্যাপারে ঈদগাঁও থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুল হালিমের সাথে কথা হলে তিনি জানান, ভিকটিমের পরিবারের কোন মাথা ব্যথা নেই এ ব্যাপারে আপনাদের মাথা ব্যথা কেন।
এলাকার লোকজনের দাবি আইন শৃংখলা রক্ষায় পুলিশ এবং সংবাদকর্মীদের মাথা ব্যথা খুবই জরুরী। এলাকাবাসী ধর্ষনকারীদের দ্রুত গ্রেফতার পূর্বক আইনের আওতায় আনার দাবি জানান।