শাহেদ মিজান, সিবিএন:
কক্সবাজার সদরের খুরুশ্কুলে প্রতিপক্ষের হাতে নির্মমভাবে খুন হয়েছেন ছাত্রলীগ নেতা ফয়সাল উদ্দীন। তার নৃশংস হত্যার কারণ এবং হত্যার আগ মুহূৃতের ঘটনা নিয়ে নানান কথা ছড়িয়েছে।

হত্যার কারণ হিসেবে প্রধান ঘাতক আজিজ সিকদারের ভাতিজা খুনের জের।

জানা গেছে, আজিজ সিকদারের নিহত ভাতিজা নূরুল হকের সাথে ফয়সালে নারীঘটিত দ্বন্দ্ব ছিলো। ফয়সালের স্ত্রীকে নুরুল হক ডিস্টার্ব করতো বলো অভিযোগ ছিলো তার। সে দ্বন্দ্বের জেরে নিহত নুরুল হক হত্যায় ফয়সালের হাত ছিলো বলে অভিযোগ প্রকট হয়। নারীঘটিত ইস্যু এবং নূরুল হকের খুনের ঘটনায় ফয়সালের উপর ক্ষুব্ধ ছিলো নূরুল হকের স্বজনেরা।

অন্যদিকে নেতাদের কাছে আশ্রয় চেয়ে না পাওয়া এবং থাকে ফেলে নেতাদের সটকে পড়ার বিষয়টি এখন বেশ আলোচিত হচ্ছে। একই সাথে ঘটনার সময় পুলিশের ভুমিকা নিয়েও অভিযোগ তুলেছেন ফয়সাল উদ্দীনের স্বজনেরা।

তবে নেতারা বলেছেন, তারা হামলাকারী আজিজ সিকদারকে কয়েকবার নিবৃত করেছেন। তাকে নানাভাবে বুঝিয়ে তাড়িয়ে ছিলেন। কিন্তু সে যে ওৎপেতে সেটি জানা ছিলো না।

স্বজনেরা দাবি করেছেন, পুলিশের সামনেই তাকে হত্যা করেছে। এই অভিযোগটি হাসপাতাল আঙিনায় চিৎকার করে বলছিলেন ফয়সালের এক ভাই।

তবে কক্সবাজার সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মুনীরুল গিয়াস জানিয়েছেন, হামলার চেষ্টার খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পুলিশ ফোর্স পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু ততক্ষণে হামলা সংঘটিত হয়ে যায়।

নিহত ফয়সাল উদ্দীন ইউনিয়নের কাউয়ারপাড়া এলাকা মৃত লাল মোহাম্মদের ছেলে এবং কক্সবাজার সদর উপজেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম সম্পাদক ছিলেন। ৩ জুলাই সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে খুরুশকুলের ডেইলপাড়ায় তাকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়।

এই ঘটনায় রাতে কক্সবাজার শহরে বিক্ষোভ করে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। তারা টায়ার জ্বালিয়ে দীর্ঘক্ষণ সড়ক অবরোধ করে। এই ঘটনায় জড়িতদের দ্রুত গ্রেপ্তার না করলে কঠোর কর্মসুচীর হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তারা।