এম.এ আজিজ রাসেল :
মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে পর্যটন নগরী কক্সবাজারে শুরু হয়েছে সপ্তাহব্যাপী ভাষা ও সংস্কৃতি উৎসব। মঙ্গলবার (২২ ফেব্রুয়ারী) বিকালে পাবলিক লাইব্রেরীর শহীদ দৌলত ময়দানে বেলুন ও পায়রা উড়িয়ে উৎসবের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়।

অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) জাহিদ ইকবালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) বিভীষণ কান্তি দাশ।

বক্তব্য রাখেন কক্সবাজার দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ প্রফেসর সোমেশ্বর চক্রবর্তী, জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি রেজাউল করিম, জেলা শিক্ষা অফিসার মো. নাছির উদ্দিন, কক্সবাজার সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের পরিচালক মংএ খিন, সাংস্কৃতিক এবং নাট্য ব্যক্তিত্ব এড. তাপস রক্ষিত ও কক্সবাজার প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মো. মুজিবুল ইসলাম।

অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, ভাষা একটি দেশের সাংস্কৃতিক ও ঐতিহ্যের ধারক ও বাহক। আর এই সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য সংরক্ষণে ভাষা হচ্ছে শক্তিশালী হাতিয়ার। মাতৃভাষার প্রচলন কেবল ভাষাগত বৈচিত্র্য, বহু ভাষাভিত্তিক শিক্ষাকেই উৎসাহিত করবে না, তা ভাষাগত ও সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের উন্নয়ন ও অনুধাবনের ক্ষেত্রে অবদান রাখবে।

বক্তারা আরও বলেন, বাঙালি জাতি নিজের রক্ত দিয়ে সারা বিশ্বকে শিখিয়েছে বাংলা ভাষা ভালোবাসার মন্ত্র। মাতৃভাষা দিবসের তাৎপর্য লুকিয়ে আছে দেশকে ভালোবাসা, দেশের মানুষকে, দেশের সংস্কৃতিকে ভালোবাসা, তার জীবনাচারকে ভালোবাসা আর এর জন্য গর্ববোধ করা।

জেলা প্রশাসন, কক্সবাজার সাংস্কৃতিক কেন্দ্র, জেলা শিল্পকলা একাডেমি ও সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট, কক্সবাজারের যৌথ উদ্যোগে দেশের সংস্কৃতি ও ভাষা নিয়ে ৭ দিন ব্যাপী আয়োজিত উৎসবে রয়েছে নানা অনুষ্ঠানমালা। তাঁরমধ্যে ২২ ফেব্রুয়ারী সন্ধ্যা ৬টায় আবৃত্তি, নৃত্য, একক সঙ্গীতানুষ্ঠান, চাকমা ও রাখাইন নৃত্য। ২৩ ফেব্রুয়ারী সন্ধ্যা ৬টায় উল্টাকাব্য, রাখাইন-চাকমা নৃত্য ও একক সঙ্গীতানুষ্ঠান। ২৪ ফেব্রুয়ারী সন্ধ্যা ৬টায় হাইল্যাগীত, আঞ্চলিক জারি গান ও একক সঙ্গীতানুষ্ঠান। ২৫ ফেব্রুয়ারী সন্ধ্যা ৬টায় ভাষা চর্চা নিয়ে প্রবন্ধ পাঠ, মাতৃভাষায় কবিতা পাঠ, রাখাইন নৃত্য ও একক সঙ্গীতানুষ্ঠান। ২৬ ফেব্রুয়ারী সন্ধ্যা ৬টায় আবৃত্তি, রাখাইন নৃত্য ও একক সঙ্গীতানুষ্ঠান। ২৭ ফেব্রুয়ারী সন্ধ্যা ৬টায় উল্টাকাব্য, বান্ডা (দলীয়) ও একক সঙ্গীতানুষ্ঠান। ২৮ ফেব্রুয়ারী সন্ধ্যা ৬টায় গাছা, আবৃত্তি, একক সঙ্গীতানুষ্ঠান ও সমাপনী অনুষ্ঠান।