বিশেষ প্রতিবেদক :
মহেশখালীর মাতারবাড়িতে নির্মাণাধীন গভীর সমুদ্র বন্দরের প্রায় ৬৩ শতাংশ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। সংযোগ সড়ক নির্মিত হলেই বাণিজ্যিকভাবে শুরু হবে বন্দরের কার্যক্রম। ইতোমধ্যে নির্মাণাধীন কয়লা বিদ্যুৎ কেন্দ্রের মালামাল সম্পুর্ণ এই বন্দর দিয়েই উঠা-নামা হচ্ছে। আজ দুপুরে জাতীয় সংসদের অনুমিত হিসাব সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি অপাধ‍্যক্ষ আবদু শহীদএমপি’র নেতৃত্বে স্থায়ী কমিটির সদস্যবৃন্দ ও স্থানীয় সাংসদ আশেক উল্লাহ রফিক গভীর সমুদ্র বন্দ্রর ও কয়লা বিদ্যুৎ কেন্দ্রের নির্মাণ কাজের অগ্রগতি পরিদর্শন করেন।
পরিদর্শন শেষে স্থাীয় কমিটির সভাপতি ও সদস্য বৃন্দ উভয় প্রকল্পের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সাথে কাজের অগ্রগতি নিয়ে মতবিনিময় করেন। এ সময়
তিনি বলেন, মহেশখালী-মাতারবাড়িকে ঘিরে সরকার ৩৪টি প্রকল্প গ্রহণ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এই ৩৪টি প্রকল্পের একটি হলো মাতারবাড়ি গভীর সমুদ্র বন্দর। এছাড়া এখানে গড়ে উঠছে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল, কোল (কয়লা) জেটি, তরলায়িত প্রাকৃতি গ্যাস (এলএনজি) টার্মিনালসহ আরো প্রকল্প। এসব প্রকল্পের মাধ্যমে এই এলাকাটি বাণিজ্যিক হাব হিসেবে আত্ম প্রকাশ করবে। এই এলাকার জীবনমান বদলে যাবে উল্লেখ করে আবদু শহীদ এমপি বলেন, ‘দেশের এই এলাকাটি এতোবছর অবহেলিত ছিল।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে অর্থনীতির অন্যতম কেন্দ্র হতে যাচ্ছে সমুদ্র উপকূলের এই এলাকাটি। এসব প্রকল্পের মাধ্যমে মহেশখালী-মাতারবাড়ি এবং কুতুবদিয়া এলাকার মানুষের অর্থনৈতিক উন্নয়ন যেমন হবে তেমনিভাবে মানুষের জীবনমানেরও উন্নয়ন ঘটবে।
এসব প্রকল্পের মাধ্যমে আগামী পাঁচ বছরে মহেশখালী এলাকার আমুল পরিবর্তন হবে জানিয়ে স্থানীয় সংসদ সদস্য আশেক উল্লাহ রফিক বলেন, এই এলাকাঘিরে অনেকগুলো উন্নয়ন প্রকল্প রয়েছে সরকারের। এতে এলাকার আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন যেমন ঘটবে তেমনিভাবে যাতায়াত ব্যবস্থায়ও পরিবর্তন আসবে। তবে এই এলাকাটি অর্থনৈতিকভাবে যেমন এগিয়ে যাবে তেমনি ভাবে পর্যটন শিল্পে কক্সবাজারকে
সাপোর্ট দেবে। এমপি আশেক আরো বলেন, ‘মাতারবাড়ি শুধু একটি বন্দর নয়। এর মাধ্যমে আমরা বিশ্বে বুক ফুলিয়ে বলতে পারবো আমাদেরও আছে গভীর সমুদ্রবন্দর। এতে বিশ্ব দরবারে দেশের সাফল্যে আরো একটি পালক যুক্ত হবে। সাফল্যের পালক বটেই! মাতারবাড়িতে উন্নয়নের মহাযজ্ঞ না দেখলে কেউ কল্পনাও করতে পারবে না এখানে কী হচ্ছে। একসময় যেখানে সাগরের জোয়ারের পানি আটকে লবণ চাষ করা হতো, বছরের অন্যান্য সময়ে পরিত্যক্ত পড়ে থাকা সেই ভূমিতে বাস্তবায়ন হতে যাচ্ছে
সোনালি স্বপ্নের।
এসময় উপস্থিত ছিলেন আহসান আদেলুর রহমান এমপি। প্রকল্প পরিচালক, এডিসি ( শিক্ষা ) বিভীষণ কান্তি দাশ, মাতার বাড়ির চেয়ারম‍্যান এস এম আবু হায়দার, মাতার বাড়ি আওয়ামী লীগের সভাপতি জিএম ছমি উদ্দিন ও সেলিম উল্লাহ সেলিম।