অনলাইন ডেস্ক: কক্সবাজারে ‘স্বামী-সন্তানকে জিম্মি করে এক নারীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের’ মামলার প্রধান আসামি আশিকুল ইসলামকে গ্রেফতার করেছে র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‍্যাব)। রবিবার রাতে গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন র‍্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন।

তিনি বলেন, কক্সবাজারে এক নারীকে ‘সংঘবদ্ধ ধর্ষণ’ মামলার প্রধান আসামি আশিকুল ইসলামকে মাদারীপুর থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

তাকে আটকের পর র‍্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার সহকারী পরিচালক আ ন ম ইমরান হোসেন জানিয়েছেন, আশিকুল ইসলাম পলাতক ছিলেন। তিনি এ ঘটনার মূল হোতা। তাকে গ্রেফতার করতে র‍্যাব বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়েছে। সর্বশেষ আজ তাকে মাদারীপুর থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
এর আগে, গতকাল শনিবার রাতে এ মামলার এজাহারভুক্ত দুজনসহ তিনজনকে গ্রেফতার করেছে ট্যুরিস্ট পুলিশ। গ্রেফতারকৃতরা হলেন- কক্সবাজার শহরের দক্ষিণ বাহারছড়া গ্রামের রেজাউল করিম (৩০), একই গ্রামের মেহেদী হাসান (২৫) ও চকরিয়া উপজেলার ডুলাহাজারা ইউনিয়নের উলুবনিয়া গ্রামের মামুনুর রশীদ (২৮)।

এছাড়া হোটেল ব্যবস্থাপক রিয়াজ উদ্দিন ছোটনকেও এর আগে গ্রেফতার করা হয়। এ নিয়ে এ আলোচিত মামলায় মোট পাঁচজনকে গ্রেফতার করা হলো।

উল্লেখ্য, গত ২২ ডিসেম্বর রাতে স্বামী-সন্তান নিয়ে কক্সবাজার আসা ওই নারী ধর্ষণের শিকার হন। ধর্ষণের শিকার নারীর ভাষ্য, স্বামী-সন্তান নিয়ে এসে ওঠেন শহরের হলিডে সি-ল্যান্ডের ২০১ নম্বর কক্ষে। ওই দিন বিকালে স্বামী-সন্তানকে নিয়ে লাবণী বিচে যান তিনি। রাতে হোটেলে ফেরার পথে এক যুবকের সঙ্গে তার স্বামীর ধাক্কা লাগে। এতে স্বামীর সঙ্গে বাগবিতন্ডায় জড়িয়ে পড়ে ওই যুবক। বাধা দিলে ওই যুবক তার সঙ্গেও তর্কে জড়ায়। এ সময় আরও দুই যুবক ঘটনাস্থলে এসে হাজির হয়। তারা স্বামী-সন্তানকে ইজিবাইকে তুলে দিয়ে ওই নারীকে আলাদা করে ফেলে। পরে ওই এলাকার একটি ঝুপড়ি ঘরে নিয়ে তিনজনে ওই নারীকে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। এরপর স্বামী-সন্তানকে হত্যার ভয় দেখিয়ে তাকে শহরের জিয়া গেস্ট ইন নামের একটি হোটেলে নিয়ে যায়।

এ ঘটনায় ধর্ষণের শিকার নারীর স্বামী বাদী হয়ে কক্সবাজার সদর মডেল থানায় মামলা করেন। আশিকুল ইসলাম আশিক, ইসরাফিল হুদা জয়, মেহেদী হাসান বাবু ও রিয়াজ উদ্দিন ছোটনের নাম উল্লেখ করে এবং আরও দুই-তিনজনকে অজ্ঞাত আসামি করে মামলাটি করা হয়েছে।

বিডি-প্রতিদিন