প্রেস বিজ্ঞপ্তি:
রামু উপজেলার কাউয়ারখোপ ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ডের উখিয়ারঘোনা এলাকায় পুর্ব শত্রæতার জের ধরে দোকানপাট ও বসত বাড়িতে হামলা চালিয়ে এলাকার একটি প্রভাবশালী বাহিনী। এ ঘটনায় ৫ জন গুরুতর আহত হয়েছেন। বুধবার, ২২ ডিসেম্বর সকালে এসব হামলার ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় হামলার শিকার ব্যক্তিরা রামু থানায় পৃথক এজাহার দায়ের করেছেন।
এ ঘটনায় আহতরা হলেন- উখিয়ারঘোনা টেইলাপাড়া এলাকার মৃত সুলতান আহমদের ছেলে আল মামুন (২৫) ও হুময়ান কবির (৩০), মৃত নুর আহমদের ছেলে হাফেজ মো. হাসান (২৬), নুর আহমদের স্ত্রী আনোয়ারা বেগম (৫৫) ও মো. হাসানের স্ত্রী ইয়াছমিন আকতার (২১)।
থানায় দেয়া একটি এজাহারে বাদি হয়েছেন- উখিয়ারঘোনা টেইলাপাড়া এলাকার মৃত সুলতান আহমদের ছেলে আল মামুন (২৫)। তিনি এজাহারে উল্লেখ করেছেন- বুধবার সকালে তিনি এবং তার বড় ভাই হুমায়ন কবির স্থানীয় অলি উল্লাহর দোকানে অবস্থান করছিলেন। এসময় স্থানীয় মৃত গোলাম বারীর ছেলে সদ্য নির্বাচিত ইউপি সদস্য নুরুল ইসলাম ও তার ছেলে মিজানুর রহমান, শহিদুর রহমান, নজির আহমদের ছেলে ইমরুল কাদের, নুর আহমদের ছেলে দিদার মিয়া, ইব্রাহিম খলিল বাহাদুর ও মৃত আবদুল কাদেরের ছেলে নজির আহমদের নেতৃত্বে আরো একাধিক ব্যক্তি দা, লোহার রড, লাটি-সোটা নিয়ে অতর্কিতভাবে তাদের উপর হামলা চালায়। হামলাকারিরা তাদের দুজনকে দা দিয়ে কুপিয়ে ও লাটিসোটা দিয়ে উপুর্যপুরি মারধর করে। হামলাকারিরা তাদের কাছে থাকা টাকা, মোবাইল সেটসহ সর্বস্ব লুট করে নেয়। এসময় রক্তাক্ত অবস্থায় তারা পালিয়ে প্রাণে রক্ষা পান।
থানায় দেয়া অপর এজাহাটির বাদি একই এলাকার মৃত নুর আহমদের ছেলে হাফেজ মো. হাসান। তিনি জানিয়েছেন প্রথমে দোকানে হামলাকারিদের সহযোগিরা সকাল ১১ টায় তার বসত বাড়িতে হামলা, ভাংচুর, লুটপাট ও মারধরের ঘটনা সংগঠিত করে। তার বাড়িতে হামলাকারিরা হলো- স্থানীয় মৃত আবদু শুক্কুরের ছেলে লিয়াকত আলী, সিরাজ উল্লাহ, ফয়েজ উল্লাহ, মহিদ উল্লাহ, লিয়াকত আলীর ছেলে আবুল মনসুর ও মৃত মো. আলীর ছেলে রেজাউল করিম। এ ঘটনায় থানায় দেয়া এজাহারে বাদি হাফেজ মো. হাসান আরো উল্লেখ করেছেন-প্রথম ঘটনায় হামলার শিকার আল মামুন ও হুমায়নকে খোঁজাখুজি করতে হামলাকারিরা তাদের বাড়িতে যান। এসময় তার মা ও স্ত্রী এদুজন বাড়িতে আসেনি বলে জানালে হামলাকারিরা ক্ষিপ্ত হয়ে হাফেজ মো. হাসানের মা ও স্ত্রীকে মারধর, বাড়িতে ভাংচুর ও লুটপাট চালায়। এদুটি ঘটনায় আহতরা রামু স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা সেবা নিয়েছেন।
কাউয়ারখোপ ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ডের সাবেক মেম্বার হাবিব উল্লাহ জানিয়েছেন- সদ্য সমাপ্ত নির্বাচনে মেম্বার নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে নুরুল ইসলাম ও তার সহযোগিরা বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। তারা নির্বাচনের জের ধরে প্রতিপক্ষের লোকজনকে প্রতিনিয়ত হুমকী-ধমকি ও মারধর করছে। এমনকি শপথ গ্রহনের মাত্র দুদিনে নুরুল ইসলাম এলাকার আরো একাধিক ব্যক্তিকে হুমকী-ধমকি ও মারধর করেছেন। যার কারণে পুরো এলাকাবাসীর মাঝে এখন আতংক ও উত্তেজনা বিরাজ করছে। তিনি এসব ঘটনায় সুষ্ঠু তদন্ত করে দোষিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ এবং এলাকার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
এদিকে ভুক্তভোগীদের দুটি এজাহার পেয়ে এ ব্যাপারে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার আশ^াস দিয়েছেন রামু থানার ওসি (তদন্ত) অরূপ কুমার চৌধুরী।