এম.এ আজিজ রাসেল :
আগামীকাল মঙ্গলবার থেকে শুরু হচ্ছে পবিত্র মাহফিলে ইছালে ছওয়াব (ফাতেহা-এ-ইয়াজ দহুম)। এ উপলক্ষে কক্সবাজার বায়তুশ শরফ কমপ্লেক্স নানা কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে ধর্মীয় আলোচনা, জিকির, তাহাজ্জুদ, হেফজখানা ছাত্রদের দস্তারবন্দী প্রদান ও আখেরি মোনাজাত। এ উপলক্ষে যাবতীয় প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। বুধবার (১৭ নভেম্বর) বাদে ফজর দুনিয়া ও আখেরাতের মুক্তি কামনায় আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে দ্বীনি এই মাহফিল সম্পন্ন হবে। সোমবার (১৫ নভেম্বর) সকালে পবিত্র মাহফিলে ইছালে ছওয়াব (ফাতেহা-এ-ইয়াজ দহুম)। এ উপলক্ষে কক্সবাজার বায়তুশ শরফ কমপ্লেক্স আয়োজিত সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় সভায় এ তথ্য জানানো হয়।
কক্সবাজার বায়তুশ শরফ কমপ্লেক্সের মহাপরিচালক বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ আলহাজ্ব এম এম সিরাজুল ইসলামের সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন ইসলামী আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. আহসান উল্লাহ।
বক্তব্য রাখেন উত্তরণ গৃহায়ণ সমবায় সমিতি স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর ফজলুল করিম ও কক্সবাজার বায়তুশ শরফ কমপ্লেক্সের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা এস এম কামাল।
সভায় বক্তারা বলেন, বায়তুশ শরফ একটি ধর্মীয় গোঁড়ামিমুক্ত অরাজনৈতিক জাতীয় ভিত্তিক প্রতিষ্ঠান। এটি সম্পূর্ণ শিরক ও বেদাতমুক্ত পীর আওলিয়া কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত এবং পরিচালিত প্রতিষ্ঠান। ধর্মীয় কাজের পাশাপাশি মানব কল্যাণই এই প্রতিষ্ঠানের প্রধান লক্ষ্য ও কোরআন-হাদিসের আলোকে প্রতিষ্ঠানটি পরিচালিত হয়ে আসছে।
প্রতিবছর রবিউস সানি মাসের ১০ তারিখ বড় পীর আবদুল কাদের জিলানী (রাঃ) এর ওফাত বার্ষিকী উপলক্ষে কক্সবাজার বায়তুশ শরফ কমপ্লেক্সে পবিত্র মাহফিলে ইছালে ছওয়াব (ফাতেহা-এ-ইয়াজ দহুম) অনুষ্ঠিত হয়।
কক্সবাজার বায়তুশ শরফ কমপ্লেক্সের মহাপরিচালক বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ আলহাজ্ব এম এম সিরাজুল ইসলাম বলেন, কক্সবাজার বায়তুশ শরফ কমপ্লেক্স এই এলাকার বৃহত্তম ধর্মীয় ও মানব কল্যাণমূলক প্রতিষ্ঠান। ১৯৭১ সালে বায়তুশ শরফের রূপকার মহান আধ্যাত্মিক সাধক প্রখ্যাত সমাজ সংস্কারক পীরে কামেল শাহ সূফী হযরত মাওলানা মৌলানা আবদুল জব্বার (রা.) প্রতিষ্ঠিত এই প্রতিষ্ঠান এতাঞ্চলের ধর্মীয় ও আধ্যাত্মিক কাজের পাশাপাশি আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।
আঞ্জুমানে নওজোয়ান কক্সবাজার জেলা শাখার সভাপতি শহীদুল ইসলামের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সভায় আরও বক্তব্য রাখেন, কক্সবাজার প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মোঃ মুজিবুল ইসলাম, কালের কণ্ঠের স্টাফ রিপোর্টার তোফায়েল আহমদ, দৈনিক সৈকত সম্পাদক মাহবুবুর রহমান, দৈনিক ইনকিলাবের কক্সবাজার ব্যুরো প্রধান শামসুল হক শারেক, দৈনিক হিমছড়ি সম্পাদক হাসানুর রশীদ, সাংবাদিক ইউনিয়ন কক্সবাজারের সাধারণ সম্পাদক আনছার হোসেন, মাহবুবুর রহমান, দীপক শর্মা দিপু ও আহসান সুমন।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।