রামু প্রতিনিধি:
রামুর চাকমারকুলে নির্বাচনী দ্বন্ধের জেরে ব্যবসায়ি গিয়াস উদ্দিনের উপর হামলার অভিযোগ পাওয়া গেছে। বুধবার (১০ নভেম্বর) সন্ধ্যা ৭ টার দিকে চাকমারকুল এলাকায় গিয়াস উদ্দিন কোম্পানীর ইটভাটায় এ হামলার ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে রামু উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) রিগ্যান চাকমা, রামু থানার ওসি (তদন্ত) অরূপ কুমার চৌধুরী ঘটনাস্থলে যান।

হামলার শিকার গিয়াস উদ্দিন জানান- বৃহষ্পতিবার নির্বাচন থাকায় তিনি শ্রমিকদের ছুটি দিয়ে বেতন দিচ্ছিলেন। এসময় চাকমারকুল ইউপি নির্বাচনে আনারস প্রতীকের প্রার্থী নুরুল আলমের নেতৃত্বে একদল অস্ত্রধারী ভাড়াটে লোকজন ইটভাটায় গিয়ে অফিসে হামলা শুরু করে। এসময় তিনি প্রাণভয়ে অফিস বন্ধ করলে হামলাকারিরা অফিস লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল ছুড়ে। এতে গিয়াস উদ্দিন কোম্পানী আহত হন। হামলাকারিরা গিয়াস উদ্দিনের অফিস কক্ষটি পুড়িয়ে দেয়ার উদ্দেশ্যে ছাউনীতে কেরোসিন ঢেলে দেয়। এসময় আশপাশের লোকজন এগিয়ে এলে হামলাকারিরা পালিয়ে যায়। এ ঘটনা জানাজানি হলে বিক্ষুব্দ লোকজন নুরুল আলমের ফিলিং স্টেশন ঘেরাও করে এবং হামলার শিকার গিয়াস উদ্দিন কোম্পানীর উপর হামলাকারিদের বিচার দাবি করেন।

ঘটনার পরপরই রামু উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) রিগ্যান চাকমা, রামু থানার ওসি (তদন্ত) অরূপ কুমার চৌধুরী ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন এবং এ ঘটনার সুষ্ঠু প্রতিকারের আশ^াস দিয়ে উত্তেজিত জনতাকে শান্ত করেন।

এদিকে হামলার এ বিষয়টি অস্বীকার করে আনারস প্রতীকের প্রার্থী নুরুল আলম জানান- তার জনপ্রিয়তায় ইর্ষান্বিত হয়ে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী নুরুল ইসলাম সিকদার ও তার সমর্থকরা এসব মিথ্যাচার করে জনগনকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছে। তিনি আরো জানান- গিয়াস উদ্দিন কোম্পানী নৌকা প্রতীকের প্রার্থীর পক্ষ হয়ে শামদের পাড়া ও আশপাশের লোকজনকে টাকা বিতরণ করছিলেন। বিষয়টি অবহিত হওয়ার পর তার ভাই সাদ্দাম ইটভাটায় গিয়ে গিয়াস উদ্দিনকে আচরণবিধি মেনে চলার অনুরোধ জানান। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে গিয়াস উদ্দিন সহ নৌকা প্রতীকের সমর্থকরা উল্টো তার উপর হামলা চালায়।