সিবিএন:
বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকার ৩০ শতাংশ চাষযোগ্য জমির ৫৩ শতাংশই লবণাক্ত এলাকা। এসব লবণ সহিষ্ণু জমিতে সবজি উৎপাদন করা গেলে চাষিদের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি আসবে।

আজ বুধবার (৩ নভেম্বর) দুপুরে পর্যটন শহরের একটি আবাসিক হোটেলের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত কর্মশালায় এমন তথ্য দেয়া হয়। কর্মশালায় জানানো হয় লবন সহিষ্ণু জমিতে এখন উচ্চ ফলনশীল সবজির উন্নত জাত উদ্ভাবন হয়েছে। এসব সবজির উন্নত জাত লবন সহিষ্ণু জমিতে চাষাবাদ হচ্ছে।

লবণ সহিষ্ণু জমিতে কিভাবে সবজি উৎপাদন করা হচ্ছে এবং এই উৎপাদন আরো ছড়িয়ে দেয়া যায় সে বিষয়ে তথ্য উপস্থাপন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক অধ্যাপক মনিরুল ইসলাম। তিনি কক্সবাজার জেলার উপকূলীয় এলাকার লবন সহিষ্ণু জমিতে চাষাবাদের সম্ভাব্যতার কথা বলেন।

কর্মশালায় ব্যবসায়ী, হোটেল কর্তৃপক্ষ, কক্সবাজার চেম্বার অব কমার্স, সাংবাদিক, সবজি চাষি, সবজি বিক্রেতাসহ বিভিন্ন স্তরের প্রতিনিধিগণ অংশগ্রহণ করেন।

জাতিসংঘের বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি ডব্লিউএফপির কারিগরি ও আর্থিক সহায়তায় আন্তর্জাতিক সংস্থা ইকো কো-অপারেশন (আইসিসিও কোঅপারেশন)এর এই অনুষ্ঠানে লেটুস পাতা , কেপসিকাম, সেরি টমেটো, ব্রুোকলি, কেরট, স্কোয়াশ, গাজর, শালগম ইত্যাদি উন্নত প্রজাতির সবজি প্রদর্শন করা হয়।

এসব সবজি উৎপাদন করে উচ্চদামে বাজারজাত করে অর্থ উপার্জন, জীবন জীবিকার মানোন্নয়ন, ট্যুরিস্টজোনে পরিচিত ও বিক্রি করার সুফল সম্পর্কে জানানো হয়।

ইকো কোঅপারেশন (আইসিসিও কোঅপারেশন) এর অফিসার মইন উদ্দিন আহমদ খান জানান, জেলার কয়েকটি জায়গায় অর্গানিক সবজি উৎপাদনে তারা প্রযুক্তিগত সহায়তা দিচ্ছে। চাষিরা যাতে তাদের উৎপাদিত সবজি উচ্চ দামে বিক্রি করতে পারে, সে জন্য আবাসিক হোটেলসমূহের সঙ্গে সংযোগ স্থাপন করে দেয়া হয়।

তিনি জানান, নেদারল্যান্ডের প্রসিদ্ধ সবজি ‘হেলোফাইটস’ কে বাংলাদেশে চাষাবাদ উপযুক্ততা দেখা হচ্ছে।