ছোটন কান্তি নাথ ঃ

কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার ১৮টি ইউনিয়নের মধ্যে আগামী ২৮ নভেম্বর অনুষ্ঠিত হবে ১০টি ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন। সারাদেশে তৃতীয় ধাপের মধ্যে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া এই উপজেলার প্রথম ১০টিতে নির্বাচনের ঘোষিত তফসিল অনুসারে আজ মঙ্গলবার (২ নভেম্বর) ছিল রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে সম্ভাব্য প্রার্থীদের মনোনয়ন পত্র দাখিলের শেষ দিন।
স্ব স্ব রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে চেয়ারম্যান পদে মনোনয়ন পত্র দাখিলের সময় প্রার্থীরা মোটর শোভাযাত্রাসহ শত শত মানুষ নিয়ে আচরণ বিধি লঙ্ঘন করে মনোনয়ন পত্র দাখিল করতে দেখা যায়। তবে ব্যতিক্রমও দেখা গেছে কয়েকজন প্রার্থীর ক্ষেত্রে। পশ্চিম বড় ভেওলা ইউনিয়ন পরিষদের আওয়ামী লীগ দলীয় চেয়ারম্যান প্রার্থী সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী বাবলা শুধুমাত্র নিজেই উপস্থিত হয়ে মনোনয়ন পত্র দাখিল করেন।

উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্র জানায়, মনোনয়ন পত্র দাখিলের শেষদিন পর্যন্ত দশটি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ৭৩ জন, সংরক্ষিত নারী সদস্য পদে ১৩৩ জন এবং সাধারণ সদস্য পদে ৩৮৩ জনসহ তিন পদে সর্বমোট ৫৮৯ জন প্রার্থী মনোনয়ন পত্র দাখিল করেছেন।

সূত্র জানায়, নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া চকরিয়ার ১০টি ইউনিয়ন হচ্ছে বদরখালী, কোনাখালী, পশ্চিম বড় ভেওলা, পূর্ব বড় ভেওলা, ভেওলা মানিকচর, ঢেমুশিয়া, সাহারবিল, কৈয়ারবিল, লক্ষ্যারচর ও কাকারা। তন্মধ্যে এসব ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে দলীয়ভাবে আওয়ামী লীগ একক প্রার্থী মনোনয়ন দিয়েছেন। এছাড়াও তিনটি ইউনিয়ন কোনাখালী, বদরখালী ও সাহারবিলে জাতীয় পার্টি এবং ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ দলীয়ভাবে ভেওলা মানিকচর ও পূর্ব বড় ভেওলায় একক প্রার্থী দিয়েছেন।
চেয়ারম্যান পদে ৭৩ জন প্রার্থীর মধ্যে আওয়ামী লীগের ১০ জন (দুইজন নারীসহ), জাতীয় পার্টির ৩ জন ও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের দুইজনসহ তিন দলের ১৫ জন প্রার্থী মনোনয়ন পত্র দাখিল করেছেন। এছাড়াও স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন পত্র দাখিল করেছেন ৫৮ জন প্রার্থী। ইউনিয়নগুলোতে দলীয়ভাবে নির্বাচনে অংশ না নিলেও স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন পত্র দাখিল করেছেন বিএনপি সমর্থিত প্রার্থীরা। এছাড়াও একটি ইউনিয়নে জামায়াত সমর্থিত প্রার্থীও মনোনয়ন পত্র দাখিল করেছেন।

এ ব্যাপারে চকরিয়া উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. শহিদুল ইসলাম জানান, আগামী ৪ নভেম্বর মনোনয়ন পত্র যাচাই-বাছাই হবে। প্রত্যাহারের শেষদিন রয়েছে ১১ নভেম্বর এবং পরদিন ১২ নভেম্বর প্রার্থীদের মাঝে প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হবে তফসিল অনুযায়ী। এর পর প্রার্থীরা আনুষ্ঠানিকভাবে প্রচারণায় অংশ নিতে পারবেন।