মোঃ আরাফাত সানী, টেকনাফ:
কক্সবাজার-টেকনাফ আঞ্চলিক মহাসড়কের একাংশের অবস্থা মারাত্নক ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। ৯০ কিলোমিটারের মধ্যে ৬৫ কিঃ মিঃ গত ২০১৯-২০২০ অর্থবছরে পুন: সংস্কার করা হলেও অদ্যাবধি উনচিপ্রাং হতে টেকনাফ পৌরসভার শাপলা চত্বর পর্যন্ত কোন সংস্কার করা হয়নি। ফলে এই সড়কে জীবনের ঝুকি নিয়ে চলাফেরা করতে হয়। সড়কের উভয় পাশ ভেঙে গিয়ে সরু সড়কে পরিনত হয়েছে। আবার সড়কের মধ্যখানে খানা খন্দকে পরিনত হয়েছে। গাড়ি চলাচলের সময় যাত্রী সাধারণ মারাত্মক আহত হচ্ছে।
এই সড়ক দিয়ে প্রতিদিন সীমান্ত উপজেলা টেকনাফের উৎপাদিত পণ্য, লবণ,পান,সুপারি ও সাগর থেকে আহরিত মাছ সহ টেকনাফ স্থলবন্দর থেকে বিভিন্ন পণ্য বোঝাই ট্রাক প্রতিনিয়ত চলাচল করে। সরকার প্রতি বছর লক্ষ লক্ষ টাকার রাজস্ব আদায় করে থাকে। এর পাশাপাশি ২০১৭ সালে প্রতিবেশী রাষ্ট্র মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীর অত্যাচারে বাস্তুচ্যুত প্রায় ১২ লাখ রোহিঙ্গা শরণার্থী এই সড়কের পাশে উখিয়া-টেকনাফ উপজেলায় অবস্থান নেয়। ফলে এই সড়কে অতীতের চেয়ে তিন/ চার গুন যানবাহন চলাচল বৃদ্ধি পায়। প্রতিদিন অতিরিক্ত যান চলাচলের কারণে সড়কটি কয়েক বছরের মধ্যে অযোগ্য হয়ে পড়েছে।
এ বিষয়ে কক্সবাজার জেলা সড়ক ও জনপদ বিভাগের সহকারি নির্বাহী প্রকৌশলি মোহাম্মদ আলী জানান, সড়কের বেহাল অবস্থা উত্তরণে অনেক বছর আগে হতে আমরা সড়ক নির্মাণের টেন্ডার দেয়ার জন্য আমাদের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট প্রস্তাব পাঠিয়ে ছিলাম। কিন্তুু এশিয়ান উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) সড়ক নির্মানের বিষয়টি সরাসরি তাদের তত্ত্বাবধানে নেওয়ায় টেন্ডার দেওয়া আমাদের পক্ষে সম্ভব হয়নি। এরই মধ্য এডিবি ২০১৮-১৯ অর্থ বছরে কক্সবাজারের লিংক রোড হয়ে টেকনাফ উপজেলার হোয়াইক্যং ইউনিয়নের উনচিপ্রাং পর্যন্ত ৬৫ কিঃ মিঃ সড়ক নির্মান প্রথম ধাপের প্রথম প্যাকেজ সমাপ্ত করেছেন। দ্বিতীয় ধাপের দ্বিতীয় প্যাকেজের উনচিপ্রাং হতে টেকনাফ পৌর সভার শাপলা চত্বর পর্যন্ত ৩৪ কিঃ মিঃ সড়ক নির্মান কাজ ২০১৯-২০২০ অর্থ বছরে সমাপ্তের কথা ছিল। কিন্তুু সড়কের নির্মাণ কাজের টাকা করোনায় আক্রান্ত ব্যক্তিদের সেবার জন্য মালামাল ক্রয় করায় টেন্ডার প্রক্রিয়া বিলম্বিত হচ্ছে বলে তিনি জানান।