বিশেষ সংবাদদাতা:
কক্সবাজারের শিবির থেকে নোয়াখালীর ভাসানচরে আরও ৮০ হাজার মিয়ানমারের বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাকে নেওয়া হবে। আগামী বছরের এপ্রিল মাসের মধ্যে তাদের সেখানে নিয়ে যাওয়ার প্রস্তুতি চলছে। শনিবার কক্সবাজার শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার শাহ মো. রেজওয়ান হায়াত জানান, স্বেচ্ছায় ভাসানচরে যেতে ইচ্ছুক রোহিঙ্গাদের তালিকা প্রণয়ন করা হচ্ছে।

শাহ মো. রেজওয়ান হায়াত সাংবাদিকদের বলেন, ‘করোনা পরিস্থিতির কারণে বেশ কিছুদিন বন্ধ থাকলেও ভাসানচরে রোহিঙ্গাদের স্থানান্তর শিগগিরই শুরু করা হবে। ফলে আগামীতে আরও ৮০ হাজার রোহিঙ্গাকে কক্সবাজার থেকে ভাসানচরে স্থানান্তর করা হবে।’

এর আগে সরকার কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফের ওপর থেকে চাপ কমাতে এক লাখ রোহিঙ্গাকে ভাসানচরে সরিয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। এরই পরিপ্রেক্ষিতে এ পর্যন্ত ছয় দফায় ১৮ হাজার ৫২১ জন রোহিঙ্গাকে ভাসানচরে নেওয়া হয়েছে। তাদের মধ্যে শিশু আট হাজার ৭৯০ জন, নারী পাঁচ হাজার ৩১৯ জন এবং পুরুষ চার হাজার ৪০৯ জন।

এদিকে, ভাসানচরে থাকা রোহিঙ্গাদের জন্য কাজ শুরু করতে বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে জাতিসংঘের চুক্তি সই হয়েছে। শনিবার দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা ইউএনএইচসিআর ও সরকারের মধ্যে এই সমঝোতা স্মারক সই হয়। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মোহসীন এবং বাংলাদেশে ইউএনএইচসিআরের প্রতিনিধি ইয়োহানেস ফন ডার ক্লাউ এতে সই করেন।

ভাসানচরে রোহিঙ্গা নাগরিকদের খাদ্য ও পুষ্টি, সুপেয় পানি, পয়ঃনিষ্কাশন, চিকিৎসা, মিয়ানমার কারিকুলাম ও ভাষায় এফডিএমএনদের অনানুষ্ঠানিক শিক্ষা এবং জীবিকার ব্যবস্থা করা হবে। সরকারের সঙ্গে এ কাজে সহায়তা করবে ইউএনএইচসিআর।

সমঝোতা স্মারক সই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন– দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী মো. এনামুর রহমান। বিশেষ অতিথি ছিলেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি এ বি তাজুল ইসলাম।